আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের আমলে ১৮৬২ সালেই দাসপ্রথার আনুষ্ঠানিক বিলোপসাধন ঘটেছিল। তবে এর এক-দেড় বছর আগে থেকেই এই প্রথার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ প্রতিরোধ চলছিলই।
এরই সঙ্গে ‘Juneteenth’ জুড়ে গিয়েছে। যদিও আত্মখ্যাতিতে মশগুল ট্রাম্প দাবি করে বসেছেন যে, তিনিই নাকি এই দিনটিকে বিখ্যাত করেছেন এবং এর উদযাপনকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। কিন্তু ঘটনা হল, আমেরিকার এটা খুব প্রাচীন একটা উপলক্ষ্য।
১৮৬৫ সালের এই দিনটিতে আড়াই লক্ষ ক্রীতদাসের মনে হঠাত্ই একরাশ বসন্তের বাতাস বয়ে যায়। কেননা, তাঁরা এদিন, এই ১৯ জুন হঠাত্ই শুনতে পান যে, তাঁরা আর পরাধীন নন, তাঁরা স্বাধীন, তাঁরা মুক্ত।
দাসপ্রথার রমরমার সময়ে টেক্সাস কেমন দমবন্ধ অসহ্য একটা জায়গা ছিল একটা মন্তব্যেই তা বোঝা যাবে। এক ইউনিয়ন অফিসার একদা বলেছিলেন, যদি আপনাকে বাছতে বলা হয়, টেক্সাসে থাকবেন, না নরকে, আমি নরককেই বেছে নেব।
প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনএর ১৮৬২ সালের ওই Emancipation Proclamation ছিল এক ঐতিহাসিক ব্যাপার। এর প্রায় আড়াই বছরের মাথায় টেক্সাসে এই Juneteenth-এর লগ্ন আসে।
ট্রাম্প নিজের ঢাক নিজে পিটিয়ে বলেছিলেন, আমি একটা ভাল কাজ করেছি। Juneteenth অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন অথচ কেউ এটা জানতেনই না, আমিই দিনটিকে বিখ্যাত করলাম!
তবে ঘটনা ঠিক তেমন নয়। কোটি কোটি আফ্রিকান আমেরিকান বহু দিন ধরে Juneteenth পালন করে আসছে। এবং দীর্ঘদিন ধরে এটাকে এক রাষ্ট্রীয় ছুটি ধার্য করার বিষয়ে দাবি তোলা হচ্ছে। অবশেষে বাইডেন প্রশাসন সেই দাবি মেনেও নিল।
লেখক গবেষক ও ঐতিহাসিক সি,আর,গিবস একটি বই লিখেছিলেন– “Black, Copper & Bright: The District of Columbia’s Black Civil War Regiment.” সেই বইতে তিনি বলেছিলেন, ওখানে কালা আদমিদের পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, তাঁদের সকলেই চাইছিলেন, এবার ঘড়ির কাঁটাটাকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হোক।