8.5 C
Düsseldorf

সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল

Must read

জার্মান চ্যান্সেলর করোনা মহামারি অবসানের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে মনে করছেন৷ জার্মানিতে পরিস্থিতি ধাপে ধাপে স্বাভাবিক করতে শনিবার থেকেই একটি আইন কার্যকর করতে পারে তার সরকার৷
গত বছর করোনা সংকটের শুরু থেকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল যথেষ্ট দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ বার বার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রায় নিখুঁত পূর্বাভাষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তির মাধ্যমে কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি৷ জার্মানির ফেডারেল কাঠামোর কারণে ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা চ্যান্সেলরের নেই৷ তাই ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলে অনেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন ম্যার্কেল৷

সেই ম্যার্কেলই মঙ্গলবার করোনা সংকট অবসানের প্রশ্নে ‘সুড়ঙ্গের শেষে আলো’ দেখার কথা বলেছেন৷ নিজের সংসদীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে অনালাইন বৈঠকের সময়ে তিনি সতর্কতার সঙ্গে করোনা মহামারির সমাপ্তির সম্ভাবনা তুলে ধরেন৷ জার্মানিতে কমে আসা সংক্রমণের হার এবং হাসপাতালের আইসিইউ-র উপর চাপ কমার ফলে স্বস্তি প্রকাশ করেন৷ টিকাদান কর্মসূচির গতিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অবদান রাখছে৷

মঙ্গলবারই ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভা করোনা টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের জন্য একঝাঁক ছাড়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে৷ করোনা পরীক্ষায় নেতিবাচক ফল দেখালে বাকি মানুষও সেই সব ছাড় পাবেন৷ বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্ন কক্ষে সেই আইনের খসড়া পেশ করা হতে পারে৷ শুক্রবারের মধ্যে অনুমোদন হয়ে গেলে শনিবার থেকেই আইনটি কার্যকর হতে পারে৷ বিচারমন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেশট বলেন, এই পদক্ষেপের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পথ প্রশস্ত হবে৷ উল্লেখ্য, নতুন আইন কার্যকর হলে জার্মানির প্রায় এক কোটি মানুষের জন্য কড়া বিধিনিয়মের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় পাবেন৷ তাদের আর লকডাউনের অনেক নিয়ম মানতে হবে না৷ মানুষের সঙ্গে দেখাসাক্ষাতে বাধা থেকে শুরু করে রাতে কারফিউয়ের নিয়ম থেকে রেহাই পাবেন তারা৷ তবে বাকিদের সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে তাদেরও প্রকাশ্যে মাস্ক পরতে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷
আশার আলো সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে কোনো বেপরোয়া পদক্ষেপ নিতে নারাজ জার্মানির সরকার৷ যেমন রেস্তোরাঁ, বার, ক্যাফে ও হোটেল এখনই খোলা হচ্ছে না৷ মে এবং জুন মাসে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটলে তখন বিধিনিয়ম আরও শিথিল করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন শিবিরের সংসদীয় দলের নেতা রাল্ফ ব্রিংকহাউস৷ অতীতে এমন ছাড় দেবার ফলে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে লকডাউন চালু করতে হয়েছিল৷ এমন বিপর্যয় এড়াতে জার্মানি তাই সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চায়৷
এএফপি

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট