প্রতিবছরের মতো এ বছরও এসে গেল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সারা পৃথিবী জুড়ে দিনটি পালিত হয়। একটিই উদ্দেশ্য, মানুষকে তার চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতন করা।
১৯৭৪ সাল থেকে দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে। এই পৃথিবী মাতৃকাকে আরও সুস্থ ও সুন্দর করে তোলার জন্য মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সারা বিশ্বের সমস্ত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ দিনে নানা কর্মসূচি পালন করে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার’। প্রত্যেক বছর একটি করে দেশ হোস্ট নির্বাচিত হয়। এ বছরের হোস্ট পাকিস্তান। অতিমারীর জন্য দিনটি ভার্চুয়ালি পালন করা হচ্ছে।
ইকোসিস্টেম হল পৃথিবীর প্রাণ। যে কোনও পরিবেশের অন্তর্নিহিত শক্তি হল ইকোসিস্টেম। পানি-মাটি-গাছপালা নিয়ে যে স্নিগ্ধ পৃথিবী, সৌর ও চান্দ্র-মাধুর্যে ধৌত যে বিশ্ব, তাকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে রক্ষা করলে সে-ও আমাদের দেখবে।
মানুষ যুগ যুগ ধরে এই বিশ্ব পরিবেশ-প্রকৃতির যে বিপুল ক্ষতি করে এসেছে, তা এবারে এই করোনাকালে বেশ বোঝা গেল। কার্যত বন্ধ পৃথিবীর দূষণহীন জল-হাওয়ার জেরে অনেকটাই সতেজ হয়ে উঠেছে এই গ্রহ।
আজও কত মানুষ প্রকৃতির কোলে নির্ভরশীল। প্রকৃতির সবুজকে, পানিকে, বাতাসকে অবলম্বন করে আজও কত জনপদে কত আদিম অধিবাসীরা বাস করছেন।
একটি প্রাচীন আমেরিকান প্রবাদ– এই পৃথিবীকে আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে আমাদের পূর্বপুরুষদের মারফত অর্জন করিনি। একে বরং আমরা আমাদের সন্তানদের থেকে ধার নিই। এই অপূর্ব ভাবনার পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী ‘গ্রেট মাস্টার ‘ রেমব্র্যান্টের একটি কথা আমাদের আজও আশ্চর্য করে– একজন মাস্টারকেই বেছে নাও- প্রকৃতি।