সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউস হবে রিপাবলিকান পার্টির। আর ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসননীতির কড়া সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ২০০৬ সালের পর সীমান্ত দিয়ে নথিপত্রহীন সবচেয়ে বেশি লোকের অনুপ্রবেশ ঘটছে। শুধু এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়েই রিপাবলিকান পার্টি প্রতিনিধি পরিষদ, সিনেট ও হোয়াইট হাউসের দখল নিয়ে নিতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা ও বড় তহবিল জোগানদাতাদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। মার-এ-লাগো ক্লাবের অদূরে ফোর সিজন রিসোর্টে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা ও বড় তহবিল জোগানদাতাদের একটি সমাবেশ শুরু হয়েছে। সপ্তাহান্তজুড়ে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।
সমাবেশে রিপাবলিকান পার্টির বড় অর্থ জোগানদাতা ছাড়াও যোগ দিয়েছেন হোয়াইট হাউসে থাকাকালে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লোকজন। ফোর সিজন রিসোর্টের বলরুমে এই সম্মেলন হলেও শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় মার-এ-লাগো ক্লাবে।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, আমরা এখানে সমবেত হয়েছি রিপাবলিকান পার্টির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার জন্য। আমাদের অবশ্যই জয় নিশ্চিত করার জন্য প্রার্থী ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, আস্থার সঙ্গে দাঁড়িয়ে বলতে চাইছি, ২০২২ সালে আমরা প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কর্মসূচিগুলো আমেরিকার জনগণের কাছে খুবই অ-জনপ্রিয় বলে দাবি করেন ট্রাম্প। বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এখনো কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা না করায় তার কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প আবারও প্রার্থী হবেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। রিপাবলিকান পার্টির সব তৎপরতা এখনো ট্রাম্পকে ঘিরেই চলছে। ক্ষমতা ছাড়ার দিন উড়োজাহাজের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘দেখা হবে শিগগিরই