কানাডায় হেট ক্রাইমের শিকার হলেন মুসলিম পরিবারের চার সদস্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কানাডায় হেট ক্রাইমের স্থান নেই।
রোববার রাতে হতভাগ্যরা প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। বাবা, মা, মেয়ে, ছেলে এবং নানি। এমন সময় একটি ট্রাক এসে তাদের ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি ট্রাক চালাচ্ছিলেন, তিনি ইচ্ছে করে এবং হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে এই পরিবারকে ধাক্কা মেরেছে। ঘটনাটি ঘটেছে অন্টারিও-র লন্ডনে।
পুলিশ প্রধান স্টিভ উইলিয়ামস জানিয়েছেন, ”আমাদের বিশ্বাস, ২০ বছর বয়সী গাড়িচালক ইচ্ছে করেই এই কাজ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পরিবারকে সে টার্গেট করেছিল, কারণ তারা মুসলিম। এটা হেট ক্রাইম।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইট করে বলেন, ”আমি লন্ডন এবং দেশের সব মুসলিমকে জানাচ্ছি, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের দেশে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই। এবং এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা গ্লোবাল নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন, ট্রাকটা রাস্তার অন্যদিক থেকে আসে এবং হাঁটার জন্য নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে পরিবারের মানুষদের ধাক্কা মারে। চালককে কাছেই একটি শপিং মলের পার্কিং থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ডিটেকটিভ সুপার পল ওয়েইট জানিয়েছেন, পুলিশ এখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনবে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
গাড়ি চাপা দিয়ে যাদের মারা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন ৭৪ বছর বয়সী এক নারী, ৪৬ বছর বয়সী এক পুরুষ, ৪৪ বছর বয়সী এক নারী ও ১৫ বছর বয়সী তরুণী। নয় বছরের একটি শিশু গুরুতর আহত। তবে তার জীবনের আশঙ্কা নেই। পরিবারের অনুরোধে মৃতদের নাম জানায়নি পুলিশ।
পরিবারের বন্ধু জাহিদ খান জানিয়েছেন, পরিবারটি ১৪ বছর আগে পাকিস্তান থেকে এসেছিল। স্থানীয় মসজিদে নিয়মিত তাদের যাতায়াত ছিল। প্রতিদিনই তারা রাতে হাঁটতে যেতেন। রোববারেও গেছিলেন।
শহরের মেয়র জানিয়েছেন, মুসলিম-বিদ্বেষের কারণেই হত্যা করা হয়েছে। শহরের চার লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার মুসলিম। এই ঘটনার জন্য শহরের পতাকা তিনদিনের জন্য নামিয়ে রাখা হবে।
-রয়টার্স