দিজেন্দ্র লাল রায়ের ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকের একটি কালজয়ী সংলাপ। মহাবীর আলেক্সান্ডার ভারত বর্ষে এসে এর বৈচিত্র্যময় রূপ দেখে তার সেনাপতির উদ্দেশ্য সংলাপটি আওড়েছিলেন।
তবে সময়টা প্রায় তেইশ শ বছর আগের।
তো আলেকজান্ডারের পরবর্তী প্রজন্মের কেউ যদি এখন ভারতবর্ষে আসতেন, তাহলে কি দেখতেন?
কোভিড-১৯ এর নৃশংসতার শিকার লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রতিদিন মরছে হাজারে হাজার।টিকা নেই, অক্সিজেন নেই।হাসপাতালে কিংবা শ্মশানে, সিট খালি নেই।সারা দেশে চিতা বহ্নিমান।
অন্যদিকে,দেশব্যাপী উৎসবের আমেজে চলছে হাজার হাজার কোটি টাকার আইপিএল ক্রিকেট। ধনী মানুষেরা বিশেষ বিমানে চড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন ইংল্যান্ডে।মুকেশ আম্বানি নামের এক কাঁচা টাকার মালিক বৃটেনে ৭৫০ কোটি রুপি দিয়ে খরিদ করলেন আস্ত একটা পার্ক। সেলিব্রেটিরা মজা লুটতে ছুটছেন-হাওয়াই,হনলুলু।যাদের ট্যাঁকের জোর একটু কম তারা যাচ্ছেন মালদ্বীপের শীতল জলে গলা ডুবিয়ে ঠান্ডা হতে ।
দেশের প্রধান মন্ত্রী দলবল নিয়ে বাংলা দখলের আয়োজনে ব্যাস্ত।ভোটাভুটি,রোখা রুখি, গোলাগুলি, গালাগালি একযোগে চলছে। মরছে শুধু মানুষ।
মনের কথা শোনাতে তিনি টেলিভিশনে করছেন, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। কিন্তু তার মনের কথা শোনার কেউ আছে কিনা – তা জানার প্রয়োজনটুকুও নেই।
একবিংশ শতাব্দীতে আলেকজান্ডারের একত্রিংশ প্রজন্ম ভারতবর্ষের এইসব কায়কারবার দেখে তার সেনাপতিকে কি বলতেন তা জানানোর ভার পাঠকের উপরেই ছেড়ে দিলাম।