রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বায়ার্নকে মাড়িয়ে সেমির পথে পিএসজি

পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন মাস কয়েক আগে এই বায়ার্ন মিউনিখের কাছেই শেষ হয়েছিল। তার ঠিক সাত মাস পর আবারও পিএসজি মুখোমুখি সেই বায়ার্নের। কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোল আর নেইমারের নৈপুণ্যে এবার ফলাফলটা নিজেদের পক্ষে এনেছে প্যারিসিয়ানরা। আর নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে হেরে গত মৌসুমের অদম্য বায়ার্ন পড়ে গেছে বিদায়ের শঙ্কায়।

সে ফাইনালে কোচ হ্যান্সি ফ্লিক নেইমার/এমবাপের গতিকে রুখতে কিছুটা রক্ষণাত্মক ধাঁচেই খেলিয়েছিলেন দলকে। তবে বুধবারের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন খেলেছে নিজেদের সহজাত খেলাটাই। হাইলাইন ডিফেন্স, পিচের অনেক ওপর থেকে প্রেস আর রক্ষণ থেকে খেলা গড়ে আক্রমণে যাওয়ার কৌশলে খেলছিল শুরু থেকেই।

তবে হাইলাইন ডিফেন্সের কারণে বায়ার্ন রক্ষণের পেছনে পড়ে ছিল বিস্তর ফাঁকা জায়গা। শুরু থেকেই নেইমার আর এমবাপের গতিতে যাকে কাজে লাগাচ্ছিল পিএসজি। প্রথম গোলটা এল তারই সুবাদে। প্রতি-আক্রমণে উঠে এসে নেইমার শেষ মুহূর্তে বল ছাড়েন এমবাপের কাছে, ফরাসি তারকার জোরালো শটের পর ম্যানুয়েল নয়্যারের ভুল পিএসজিকে এনে দেয় প্রথম গোল।

এর মিনিট দশেক পর জুলিয়ান ড্র্যাক্সলার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের খড়গে গোল পায়নি পিএসজি। তবে দ্বিতীয় গোলের জন্য দলটিকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৮ মিনিটে আবারও গোল পায় পিএসজি, আবারও এতে অবদান ছিল সেই নেইমারের। মাঝমাঠ থেকে তার লং বলেই তো ফরাসিদের দ্বিতীয় গোলটা এনে দেন মারকিনিয়োস।

বায়ার্ন অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি। ৩৭ মিনিটে বেঞ্জামিন পাভার্ডের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বায়ার্নের হয়ে ব্যবধান কমান সাবেক পিএসজি খেলোয়াড় এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং, গেল গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই যিনি ফরাসি দলটি ছেড়ে বায়ার্নে যোগ দিয়েছিলেন। বিরতির আগে বায়ার্ন সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দক্ষতায় গোল পায়নি। তবে বিরতির পর দলটিকে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৬০ মিনিটে জশুয়া কিমিখের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান থমাস মুলার।

তবে এ সমতা ম্যাচে টিকলো কেবল ৮ মিনিট। এমবাপের কল্যাণে পিএসজি গোল পেয়ে যায় ৬৮ মিনিটেই। আনহেল ডি মারিয়ার পাস থেকে দারুণ এক শটে কাছের পোস্ট দিয়েই পরাস্ত করেন গোলরক্ষক নয়্যারকে।

চোটের কারণে এ ম্যাচে বায়ার্নে ছিলেন না রবার্ট লেভান্ডভস্কি, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছিলেন না সের্জ গেনাব্রিও। দুজনের অভাবটা অন্তত শেষ দশ মিনিটে ভালোভাবেই বুঝেছে বায়ার্ন। এ সময়ে গোলের জন্য দারুণ চেষ্টা করেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ৩-২ গোলে হেরে ছেড়েছে মাঠ।

নিজেদের মাঠে তিন গোল হজমের হার। এর ফলে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেমিফাইনালে যেতে হলে আগামী সপ্তাহে প্যারিসের ফিরতি লেগে দলটিকে করতে হবে কমপক্ষে ২ গোল, হজম করা চলবে না একটিও। ওদিকে পিএসজির একটা ড্র হলেই চলবে। হারলেও থাকছে সুযোগ, প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে পাওয়া তিনটে বাইশ ক্যারেট সোনার দামী ‘অ্যাওয়ে গোল’ যে আছে!

- Advertisement -

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version