5.2 C
Düsseldorf

রাশিয়ার মহানায়কের ‘এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাসরী আর হাতে রণতূর্য

Must read

গোলজার হোসাইন খান
গোলজার হোসাইন খান
আমি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর একজন অবসরপ্রাপ্ত এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার।অতি সাধারণ মানুষ। কোন উচ্চাভিলাষ নেই। সাংসারিক বোধবুদ্ধি শূন্যের কোঠায়। হেরে যাওয়া মানুষের পাশে থাকি।এড়িয়ে চলি স্বার্থপরতা।বিনম্র শ্রদ্ধায় নত হই সৃষ্টিশীল-পরিশ্রমী মানুষের প্রতি আর ভালবাসি আমার পেশাকে।

বয়স ৬৭। পেটানো চেহারা। নিয়ম করে জিমে কাটান প্রতিদিন দু’ঘন্টা। সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন ঘণ্টাখানেক ধরে। মস্কোর ক্রেমলিন প্রাসাদে তার ঘুম ভাঙে ভোর পাঁচটায়। দিনের জন্য তৈরি হয়ে কালো এক কাপ কফি পান।

জিমে কসরত করে সুইমিং পুলে ঝাঁপ। আটটার ব্রেকফাস্টে দুটি কড়কড়ে টোস্ট, মধু মাখানো। স্ক্র্যামবেলড এগ আর একটা ফল। এরপর কাজ। দুপুর একটায় লাঞ্চ। সেদ্ধ করা বিফ, প্রচুর সবজি সেদ্ধ আর স্যুপ। কাজে ফেরা। বিকেল চারটায় পারসিয়ান টি এক কাপ আর কিছু ক্র্যাকার। সন্ধ্যা ছটায় মস্কভা নদীর তীরে একটু হাঁটাহাঁটি।
ক্রেমলিনে ফিরে সামান্য রেড ওয়াইন কিংবা রাশিয়ান ভদকা। রাত নটায় ডিনার, সালাদ আর সেদ্ধ চিকেন। সাড়ে নটায় ঘুমের দেশে। ভ্লাদিমির পুতিনের জীবনে প্রেমের সময় কোথায়?

তবু প্ৰেম এসেছিল প্রাক্তন এই কেজিবি এজেন্ট-এর জীবনে।সোভিয়েত এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অ্যাসিস্ট্যান্ট লুডমিলা সেরেকভনা পুতিনের মন জয় করেন। পুতিন সেইসময় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, লুডমি আমার ব্যাচেলরহুড হরণ করেছিল। ১৯৮৩’র ২৮ জুলাই পুতিন বিয়ে করেন লুডমিলাকে। এরপরই বিবাহিত জীবন চলে যায় কম্যুনিজমের অন্ধকার সুড়ঙ্গে। এমনকি কেউ জানতেও পারলো না পুতিনের বিবাহিত জীবনের রোমান্সের কাহিনী অথবা তার দুই কন্যা সন্তান জন্মের কথাও।

২০১৩ সালে লুডমিলার সঙ্গে পুতিনের বিচ্ছেদ হয়। বড় মেয়ে মারিয়ার বয়স এখন ৩৫। মেডিকেল গবেষক। বিবাহিত। ছোট মেয়ে ক্যাটরিনা ৩৩। বিবাহিত। বিজনেস ওম্যান। এই অবস্থায় পুতিনের নিঃসঙ্গ জীবনে আবার প্ৰেম এলো।
রাশিয়ার অলিম্পিক রিদমিক জিমনাস্ট এলিনা কাবাভের প্রেমে পড়লেন পুতিন। এলিনা তার বড় মেয়ের থেকেও ছোট। পুতিনের সঙ্গে বয়সের ব্যবধান ৩৭ বছরের। কিন্তু দুর্বার, দুর্নিবার প্রেমকে কে আর কবে আটকাতে পেরেছে?

আমেরিকার নিউজউইক পত্রিকার দাবি, পুতিন-এলিনার বিয়ে হয়েছে। পুতিন সম্পর্ক এবং বিয়ের কথা উড়িয়ে দিলেও গড়পড়তা বেশিরভাগ রাশিয়ান বিশ্বাস করে যে, পুতিন-এলিনার একটি কন্যাসন্তান আছে। ৩৭ বছরের বেশি বয়সের একজনের প্রেমে কীভাবে পড়লেন এলিনা? স্বর্ণকেশী এলিনা বলেছেন, ও আমাকে প্রটেক্ট করে। আমাকে দুর্দান্ত বোঝে। আমার স্বপ্নগুলোকে উপলব্ধি করে। আর কি চাই? রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়ককে অনেকে ওম্যানাইজার বলেন। পুতিনের তাতে কিছু এসে যায় না। বজ্রকঠিন হৃদয় নিয়ে তিনি একনাগাড়ে বোমাবর্ষণ করেন সিরিয়ায়। আবার এই হৃদয়ই হয়তো ফুলের মালা নিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় দয়িতার সামনে। বয়স? তাতো শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। প্রেমিক তো প্রেমিকই থেকে যায়।

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট