এক সপ্তাহ হয়ে গেল ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইন সংঘাত অব্যাহত। অবশ্য কতটা সংঘাত এবং কতটা নির্মম হত্যালীলা বিতর্ক থাকতেই পারে। রবিবার ফের ইজরায়েল বিমান হামলায় ২৬ জন প্যালেস্তিনীয় প্রাণ হারিয়েছেন।
অধিকাংশ শিশু এবং মহিলা। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যতক্ষণ প্রয়োজন অভিযান চলবে। চুপ করে বসে নেই প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। রকেট এবং গ্রেনেড হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরাও।
কিন্তু সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকা ইজরায়েল অনেক বেশি ক্ষতি করছে প্যালেস্টাইনের। বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রসংঘ পর্যন্ত শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে, কিন্তু বিশেষ ফল পাওয়া যায়নি। এবার আসরে নামলেন পোপ ফ্রান্সিস। রবিবার প্রার্থনার পর ভ্যাটিকান থেকে তিনি বলেন, ” আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম এই হিংসা এবং হানাহানি করে কী ফল পাওয়া যাবে? অন্যের ঘর ভেঙে নিজের ঘর সুরক্ষিত রাখা যায় না। প্রচুর শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। এটা প্রমাণ করে যাঁরা এই কাজ করছে তাঁরা উন্মাদ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করতে পিছপা নয়। মনে রাখবেন ঈশ্বর প্রত্যেক মানুষকে নিজের হাতে তৈরি করেছেন। তাই এই চরম হানাহানি বন্ধ না হলে ঈশ্বরের অপমান। অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করুন”।
পোপের এই আবেদনে কতটা কাজ হবে বলা মুশকিল। যদিও এই প্রথম নয়। অতীতেও বিভিন্ন অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন তিনি। এই যুগের প্রবক্তা, বিপ্লবী এবং সমাজ সংস্কারক হিসেবে পোপ ফ্রান্সিস অন্যতম। অত্যাচার, শোষণ, নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি বরাবর প্রতিবাদ এবং ধিক্কার জানিয়ে এসেছেন। প্রভু যীশুর দেখানো পথেই তিনি হেঁটেছেন।
মানুষের মৌলিক অধিকার আদায় করার ব্যাপারে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করা পছন্দ নয় তাঁর। রবিবার তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এই হামলা বন্ধ না হলে ঈশ্বরের খাতায় দাম দিতে হবে। এখন যাঁরা নিজেদের শক্তিশালী ভাবছে, সময়ের সঙ্গে তাঁরাও ধুলোয় মিশে যাবে। দু’পক্ষকেই শান্তির পথে হাঁটার আবেদন করেছেন তিনি।