মালির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ইসলামি উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকলে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
বিবিসি জানায়, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ৯ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হওয়ার পর ম্যাক্রোঁ এই হুঁশিয়ারি দিলেন।
মালি ইসলামপন্থিদের আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের পথে এগুনোর ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
ইসলামি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের ৫ হাজার ১শ’ সেনা আছে। ২০১৩ সাল থেকে অঞ্চলটিতে ইসলামপন্থি জঙ্গি দমনে মালি, মৌরিতানিয়া, নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও শাদের বাহিনীকে সহায়তা করে আসছে ফরাসি সেনারা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ স্থানীয় এক পত্রিকাকে বলেন, আফ্রিকার আঞ্চলিক নেতাদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা না হলে বা সরকারের বৈধতা না থাকলে ফ্রান্স সেসব দেশকে সহায়তা করবে না। তাছাড়া, আফ্রিকায় চিরকাল সেনা মোতায়েন করে রাখার ইচ্ছাও ফ্রান্সের নেই।
আফ্রিকায় একসময় উপনিবেশ থাকা দেশগুলোর নেতাদের সমর্থনের আওতায় গত কয়েক দশক ধরে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ফ্রান্স। সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনে লড়াইয়ের জন্য প্রায়ই দেশগুলোতে সেনা পাঠানো থেকে শুরু করে বিমান হামলাও চালায় ফ্রান্স।
শুক্রবার মালির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হন দ্বিতীয়বারের মতো অভ্যুত্থান ঘটানো সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতা। অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোইতার নাম ঘোষণা করে মালির সাংবিধানিক আদালত।
গত বছরের অগাস্টে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের অন্যতম গোইতা সপ্তাহখানেক আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
মন্ত্রিসভায় এক রদবদলের পর গত সপ্তাহে তার নির্দেশেই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোক্তার উয়ানকে আটক করা হয়েছিল। আটক অবস্থাতে বুধবার এনদাও আর উয়ান পদত্যাগ করেন; এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সাংবিধানিক আদালত নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোইতার পক্ষে রায় দেয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে এ রদবদলের ঘটনা দেশটির গণতন্ত্রে ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।