বাংলায় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে শেষমেশ মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানালেন মোদী। টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘মমতাদিদিকে ধন্যবাদ।’ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সবরকম সাহায্য করবে কেন্দ্র।’
উল্লেখ্য, বাংলা দখলে এবার ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির উত্থানের পরই ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে পুরোদমে আসরে নামেন মোদী-শাহরা। একুশের নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম নরেন্দ্র মোদী বাগযুদ্ধে সরগরম হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। মোদীর ‘দিদি ও দিদি’ ডাক ঘিরেও তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতর চলে। অন্যদিকে, মোদীকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেন মমতা। শেষমেশ একুশের রায়ে শেষ হাসি হেসেছেন মমতাই। এই প্রেক্ষিতে ভোটগণনার শেষলগ্নে টুইটারে মমতাকে মোদীর জয়ের অভিনন্দন অন্য মাত্রা এনে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মমতাকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ে উচ্ছ্বসিত এন্টি-বিজেপি দলগুলো। মমতার জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত, মেহবুবা মুফতিরা। উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছিলেন মমতা। আজকের জয়ের জেরে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারেন মমতা, এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।
মমতার জয় প্রসঙ্গে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, মোদীজি ও অমিত শাহজি অপরাজেয় নন। তাঁদেরকেও হারানো যেতে পারে।’ তৃণমূল সুপ্রিমোকে জয়ের অভিনন্দন জানিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, ‘কী দুর্দান্ত লড়াই। জয়ের অভিনন্দন মমতাদিকে। বাংলার মানুষকে অভিনন্দন।’ বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিতে পরাস্ত করেছেন মমতা, এ ভাষাতেই অভিনন্দন জানিয়েছেন সপা নেতা অখিলেশ। তাঁর কথায়, ‘দিদি ও দিদি বলে ডাকের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে।’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও।
বিজয় নিশ্চিতের পর মমতা বন্দোপাধ্যায় এবার কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।