যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুর্বলতার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তাঁর শাসন আমলে গৃহীত মধ্যপ্রাচ্য নীতির কারণে শান্তি বিরাজ করছিল।
ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলায় ১০ শিশুসহ ২৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবৃতি দেন। গত মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাঁর শাসন আমলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বিরাজের কারণ হলো ইসরায়েলের শত্রুপক্ষের জানা ছিল যুক্তরাষ্ট্র দেশটির পক্ষে শক্তভাবে রয়েছে। ইসরায়েলের ওপর কোনো হামলা হলে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া জানাবে, এ ব্যাপারে ইসরায়েলের শত্রুরা সতর্ক থাকত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে সারা বিশ্ব আরও সহিংস হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দুর্বলতা এবং ইসরায়েলের প্রতি তাঁর জোরালো সমর্থন না থাকায় এমন সহিংসতা। তিনি বলেন, এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ওপর শত্রুদের হামলা বাড়ছে।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব সময় ইসরায়েলকে সমর্থন করা উচিত। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সহিংসতা, জঙ্গি কার্যক্রমসহ রকেট ছোড়া বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব সময় দাবি জানানো উচিত। ইসরায়েলের আত্মপক্ষ সমর্থনের সমস্ত প্রয়াসে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন জানানো উচিত।
এদিকে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গতকাল এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফ করা হচ্ছে। বাইডেন তাঁর কূটনৈতিক দলকে সক্রিয় করেছেন। কূটনৈতিকভাবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের সমাধান জন্য ‘টু স্টেট’ সমাধানই যথার্থ বলে মনে করেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা রক্ষার সমান অধিকার রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।