8.4 C
Düsseldorf

ভালো থাকুন – সুস্থ দেহে,সুন্দর মনে। কেটে যাবে গ্রহণের কাল

Must read

গোলজার হোসাইন খান
গোলজার হোসাইন খান
আমি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর একজন অবসরপ্রাপ্ত এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার।অতি সাধারণ মানুষ। কোন উচ্চাভিলাষ নেই। সাংসারিক বোধবুদ্ধি শূন্যের কোঠায়। হেরে যাওয়া মানুষের পাশে থাকি।এড়িয়ে চলি স্বার্থপরতা।বিনম্র শ্রদ্ধায় নত হই সৃষ্টিশীল-পরিশ্রমী মানুষের প্রতি আর ভালবাসি আমার পেশাকে।

মানবজীবন পাড়ি দিচ্ছে এক অস্থির সময়। কানে আসছে শুধুই মন খারাপ করা খবর। করোনা ভাইরাস আর লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত দুনিয়া। যেন এক অচেনা ভুবন। প্রতিদিনই দেখতে হয় চেনা মানুষের অপরিচিত মুখ। কেউ কাজ হারিয়েছেন। কেউবা হারিয়ে যাচ্ছেন চিরতরে। এর মাঝে অনেকেই হয়ে পড়েছেন গৃহহীন।

শেষ সম্বলটুকুও হারিয়েছেন। সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার। কোভিড রোগীদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ পৌঁছে দিয়ে, দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে সবাই সবার মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভালো থাকার। পাশে থাকার।প্রত্যাশা একটাই- অন্ধকার কেটে আলো উঠবেই। কিন্তু দীর্ঘ দিনের ঘরবন্দি, অস্থিরতায় মানসিক জীবনও বিপন্ন। ইতিবাচক মনোভাবের আজ খুবই অভাব। সব কিছুই বড় বেশি নেতিবাচক ঠেকছে। কিন্তু মনের জোর হারিয়ে ফেললে চলবে না। সম্প্রতি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।

সেখানে দেখা গিয়েছে, যে সব সম্পর্কে দুজনই খুব পজিটিভ মনের মানুষ, ভাবনায় ইতিবাচকতা রয়েছে সেই সব সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ়। জীবনে তাঁরা অনেক কিছু করতে পেরেছেন। এছাড়াও দেখা গিয়েছে সম্পর্কে কোনও একজন যদি সব সময় পজিটিভ থাকেন তাহলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব। কারণ ইতিবাচকতা থাকলেই ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা জন্মায়। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যাঁরা পজিটিভ মনের মানুষ তাঁদের স্নায়ুর চাপ কম। যে কোনও কাজ খুব সহজেই তাঁরা করে ফেলতে পারেন। সেই সঙ্গে অন্যকে দারুণ ভাবে উৎসাহ দিতে পারেন এমন মানুষেরা।

শরীর আর মন ভালো থাকলে তবেই সেই প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। আজকাল আমাদের সবার জীবনে পারিপার্শ্বিক চাপ খুব বেশি। সেই সঙ্গে রয়েছে কাজের চাপও। জীবনযাত্রাও আগের থেকে কঠিন। ফলে মনের দিক থকে যদি আমরা সব সময় ধরে নিই যে ‘হবে না’ কিংবা ‘এই ভাবে হচ্ছে না’ তাহলে তার প্রভাব পড়বে সম্পর্কেও। তবে এর সঙ্গে বিচক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গিও থাকা প্রয়োজন। কারণ বাস্তববোধ না থাকলে জীবনে এগিয়ে চলা খুবই মুশকিল। তারপরও নিজের জীবন নিজেকেই গুছিয়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে আচরণও সংযত হওয়া দরকার। ব্যবহার ভালো থাকলে, সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বললে মস্তিষ্কও ভালো থাকে।

আর কেউ যদি আপনার সঙ্গীর এই সব অভ্যাসের প্রশংসা করেন তাহলে নিঃসন্দেহে আপনারও খুব ভালো লাগবে। আপনিও তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হবার চেষ্টা করবেন। এই দুইয়ে মিলে নিজেদের মধ্যেকার বোঝাপড়া ঠিক থাকবে।

ব্যক্তিত্ব, বাস্তববোধ, বিচক্ষণতা- সম্পর্কে এই প্রতিটা শব্দের যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনই ভালোবাসারও গুরুত্ব অসীম। এই তিন গুণের সঙ্গে যদি পার্টনারের মধ্যে থাকে রোম্যান্টিকতা তাহলে সম্পর্ক যে দারুণ ভাবে গড়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন মানুষের সঙ্গে বিবাহিত জীবন যেমন সুখের হয় তেমনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হয়। আর তাই সবশেষে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সুষম আহার করুন, সঙ্গে থাকুক নিয়মিত শরীরচর্চা , মন থেকে ভালো থাকুন, ইতিবাচক থাকুন তবেই একটা সম্পর্ক সুন্দর হবে।

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট