20 C
Düsseldorf
হোম ব্লগ পৃষ্ঠা 3

‘কানাডা ডে’তে অ্যালবার্ডার ১০ গির্জায় ভাঙচুর

কানাডার অ্যালবার্ডায় ১০টি গির্জায় ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ। এ ছাড়াও উইনিপেগ শহরে স্থাপিত যুক্তরাজ্যের রানী ভিক্টোরিয়া ও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভাস্কর্য উপড়ে ফেলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে ‘কানাডা ডে’ উদযাপনের আগ মুহুর্তে এ ভাঙচুর হয়। এসব ভাঙচুরের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে অন্তত দুটি পরিত্যক্ত স্কুলে গণকবর আবিষ্কৃত হওয়ার সম্পর্ক আছে বলে পুলিশ মনে করছে।

ক্যালগেরি শহরের একাধিক গির্জায় ভাঙচুরের পাশাপাশি কমলা ও লাল রং ছিটানো হয়েছে এবং কোথাও কোথাও দরজা ও দেয়ালে হাতের রঙিন ছাপ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। অ্যালবার্ডার প্রিমিয়ার জেসন কেনি গির্জায় এ ধরনের হামলায় ‘স্তম্ভিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

চলতি বছরের মে ও জুনে পরিত্যক্ত দুই আবাসিক স্কুলে প্রায় এক হাজার অচিহ্নিত কবর আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে উত্তর আমেরিকার এ দেশটিতে বিভিন্ন গির্জায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। সরকারি অর্থায়নে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পরিচালনায় ওই স্কুলগুলোতে আদিবাসী শিশুদের রাখা হতো।

১৮৬৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এসব বোর্ডিং স্কুলে এক লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি আদিবাসী শিশুকে তাদের পরিবারগুলো থেকে নিয়ে এসে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। এসব শিশুদের প্রায়ই তাদের নিজেদের ভাষায় কথা বলতে ও তাদের সংস্কৃতি চর্চা করতে দেওয়া হতো না। তারা ছিল অপুষ্টির শিকার; তাদেরকে এমনকী শারীরিক ও যৌন নিগ্রহও সইতে হয়েছে।

২০১৫ সালে কানাডার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন আবাসিক স্কুলগুলোর ওই চর্চাকে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ আখ্যা দেয়। যারা এসব বোর্ডিং থেকে শেষ পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পেরেছে তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ক্ষুধা আর একাকিত্ব তাদের তাড়া করে ফিরত; স্কুলে নিয়মিত ভয় দেখানো ও বল প্রয়োগ করা হতো।

কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার ওই স্কুলগুলোর আচরণের জন্য ২০০৮ সালে ক্ষমা চেয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্কুল পরিচালনার ভার যাদের দায়িত্বে ছিল, সেই রোমান ক্যাথলিক গির্জার পক্ষ থেকে এখনো দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পোপ ফ্রান্সিসকে কানাডায় এসে উনিশ ও বিশ শতকে আবাসিক স্কুলগুলোতে আদিবাসী শিশুদের ওপর করা নিপীড়নের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অচিহ্নিত এসব কবর আবিষ্কারের পর অনেকে সরকারের প্রতি ১ জুলাই ‘কানাডা ডে’ উদ্‌যাপন বাতিলেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন। অ্যালবার্ডার প্রিমিয়ার কেনি জানান, বৃহস্পতিবার ক্যালগেরির যেসব গির্জায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তার মধ্যেই একটি ইভাঞ্জেলিকাল গির্জাও আছে।

যেসব দেশে প্রায়শই গির্জায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, সেসব দেশ থেকে আসা শরণার্থীরাই ক্যালগেরির এই ইভাঞ্জেলিকাল গির্জাটির অনুসারী, বলেন কেনি। “শান্তিমতো নিজেদের বিশ্বাসের চর্চা করতে পারবে, এই আশা নিয়ে এসেছিল তারা কানাডায় এসেছিল। গির্জায় হামলার ঘটনায় অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে,” টুইটারে দেওয়া পোস্টে বলেছেন তিনি।

ক্যালগেরির পুলিশ জানিয়েছে, গির্জাগুলোতে ভাঙচুর হয়েছে বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে। একটি গির্জার জানালে ভেঙে ভেতরেও রং ছিটানো হয়েছে। কোথাও কোথাও রং দিয়ে ‘২১৫’ ও ‘৭৫১’ লেখা হয়েছে। মে’তে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পরিত্যক্ত একটি স্কুলে ২১৫টি অচিহ্নিত কবর আবিষ্কৃত হয়েছিল। জুনে সাসকাচোয়ানের অন্য একটি পরিত্যক্ত স্কুলে মেলে আরও ৭৫১টি। এসব কবর আদিবাসী শিশুদের বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুটি স্কুলই রোমান ক্যাথলিক গির্জা পরিচালনা করতো।

সমস্ত মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ; নতুন পদক্ষেপের পথে বাইডেন প্রশাসন

অপরাধ যতই ঘৃণ্য হোক, রাষ্ট্র কি তার জন্য অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে? এই বিতর্ক আজকের নয়। আমেরিকাতেও এই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে এই বিষয়ে। আমেরিকার বিচার বিভাগীয় দপ্তর মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পর্যালোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘বিচার বিভাগকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচার বিভাগীয় পরিকাঠামোয় সকলকে সংবিধানের দেওয়া মার্কিন আইনের সুযোগই কেবল দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে তাঁদের বিচার স্বচ্ছ ও মানবিক ভাবে করা হচ্ছে।’’
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এবছরের গোড়ায় ট্রাম্প সরকারের বিদায়ের আগে পর্যন্ত আমেরিকায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। উনবিংশ শতাব্দীর সময় থেকে আর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমলে এত অল্প সময়ে এতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি।

ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রচারে জো বাইডেন দাবি করেছিলেন তিনি ক্ষমতায় এলে মৃত্যুদণ্ডে রদে আইন করার দিকে অগ্রসর হবেন। এবার মৃত্যুদণ্ড সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত থেকে পরিষ্কার, সম্ভবত সেদিকেই এগতে চলেছে আমেরিকা।
ইতোমধ্যেই ‘ফেডেলার ক্যাপিটাল হাবিস প্রোজেক্ট’-এর প্রধান রুথ ফ্রিডম্যান এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সঠিক অভিমুখে প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। বিচার বিভাগের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমস্ত মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেওয়া উচিত।’’ অন্যথায়, তাঁর মতে, গত বছর যেভাবে ‘অযৌক্তিক রক্তক্ষরণ’ দেখা গিয়েছিল, অচিরেই তার পুনরাবৃত্তি হতেই পারে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে পর্যালোচনা করেছেন বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডের রায়দানের পদ্ধতিগুলির বিষয়ে। কোনও নিরপরাধ ব্যক্তির যাতে মৃত্যুদণ্ড না হয় সেবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪৬ বন্দির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ স্থগিত রয়েছে। এঁদের মধ্যে ২০ জন শ্বেতাঙ্গ, ১৮ জন কৃষ্ণাঙ্গ, সাতজন লাতিন ও একজন এশিয়ান।

যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষে কতটকু সফল?

আফগানিস্তানের মাটি থেকে আল-কায়েদার পরিচালিত ৯/১১ হামলার ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে সৈন্য প্রত্যাহার করে চলে যাচ্ছে। একাধিক সামরিক সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে যে, পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বিদেশের মাটিতে বহু বছরের যুদ্ধ মার্কিন দেশটির মর্যাদা হ্রাস করেছে এবং তার অভ্যন্তরীণ রাজনীনৈতিক বিভেদে অবদান রেখেছে, যা তার বৈশ্বিক আধিপত্যকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে। এর মধ্যে, চীনের উত্থান এবং রাশিয়ার বৈরিতায় সৃষ্ট দুর্দান্ত শক্তি প্রতিযোগিতার এক নতুন যুগ এখন সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে ফেলেছে ওয়াশিংটনকে। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কোভিড-১৯ মহামারী এপর্যন্ত কয়েক লক্ষাধিক আমেরিকানের মৃত্যু ঘটিয়েছে। তবে আফগান যুদ্ধ আমেরিকান ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। ৩ হাজার ৫ শ’রও বেশি আমেরিকান ও তাদের মিত্র এই যুদ্ধে নিহত হয়েছে, আরও অনেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়েছে এবং কয়েক হাজার আফগান প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং বেসামরিক নাগরিক যারা মারা গিয়েছে। কিন্তু এরপর কি ঘটবে, সেই প্রশ্নের জবাবের জন্য বিশ্বের দৃষ্টি যুক্তরাষ্ট্রের ‘দীর্ঘতম যুদ্ধ’টির সমাপ্তি টানা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর নিবদ্ধ থাকবে।

বাইডেন রাজনৈতিক বা কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন কিনা, এটি একটি প্রশ্ন। তবে বিদেশে যুদ্ধ সমাপ্তির সিদ্ধান্ত প্রগতিশীল এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোটারদের একজোট করে দিয়েছে। পরের প্রশ্নটি হ’ল যে, লাখ লাখ আফগানদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা আছে কি না, যারা মার্কিন গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সাফল্য অর্জন করেছে এবং যারা এখন অন্যান্য সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি, ছোট মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া সামন্ততান্ত্রিক তালেবানদের অধীনে নতুন অন্ধকার যুগের মুখোমুখি। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে তালেবানরা সারা দেশে জেলাগুলির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। আশঙ্কা রয়েছে, যে কোনও সময় আফগান সরকারের পতন ঘটবে, যা আমেরিকার প্রতিপত্তির ওপর গুরুতর আঘাত বলে বিবেচিত হতে পারে। আফগানিস্তানের বাইরের ঘাঁটিগুলি থেকে মার্কিন বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে, কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে এই ধরনের পদক্ষেপ কার্যকরী হবে না।

তাই সুদীর্ঘ ২০ বছরের এই যুদ্ধটি ঋদ্ধ ছিল কিনা, সেই প্রশ্নটি হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং বা ওয়াশিংটন থিংক-ট্যাঙ্কেদের চেয়ে এখন ৯/১১-পরবর্তী যুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা রক্ষাকারী আর্লিংটন জাতীয় কবরস্থানের সংখ্যাগুলিতে ঘুরছে। যখন বুশ প্রশাসন ইরাকের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছিল, সেখানকার যুদ্ধ নিস্তেজ হয়ে যায় এবং তালেবানরা পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আক্রমণ ও আফগান বাহিনী গঠনের নতুন পরিকল্পনার উদ্ভব ঘটে। তবে, এতে যুক্তরাষ্ট্র বড় সাফল্য লাভ করেনি। ২০১২ সালে ওয়াশিংটন পোস্ট কর্তৃক প্রকাশিত গোপনীয় নথিতে বলা হয়েছে যে, উর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা সাধারণ আমেরিকানদের সাথে যুদ্ধের বিষয়ে আশাবাদগুলি পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, যা মিথ্যা বলে তারা জানতেন।

গবেষণাপত্রটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, তাদের যুদ্ধ-পরিচালনা কৌশল মারাত্মকভাবে ত্রুটিযুক্ত এবং সে কারণে ওয়াশিংটন আফগানিস্তানকে একটি আধুনিক দেশ হিসাবে পুননির্মাণের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে।’ সুদীর্ঘ বছর ধরে আফগানিস্তান এমন একটি যুদ্ধ ছিল, যা থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অর্জন করতে পারেনি এবং এটিকে বের হয়ে আসতেও পারেনি। তবে বাইডেন ট্রাম্পের বিদায়ের আগে ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদি কাবুল সরকারের পতন হয় এবং রক্তপাত ঘটে, তা বাইডেনের নজরদারিতেই হবে। মার্কিন কূটনীতিকরা সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেলে তিনি মানবিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবেন। যুক্তরাষ্ট্র-পরবর্তী আফগানিস্তান অতি বিপদজ্জনক। দেশটির শীর্ষ মার্কিন কমান্ডার জেনারেল অস্টিন মিলার মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন যে, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ একটি বাস্তব সম্ভাবনা এবং এটি বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।

সূত্র : সিএএন।

জার্মানির প্রতি চারজনের একজন বিদেশী বংশোদ্ভূত

জার্মানিতে বর্তমানে প্রতি চারজনের একজনের ‘মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ড’ রয়েছে৷ বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে বিদেশে শেকড় থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ‘ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন রিসার্চ’৷ জার্মানিতে বসবাসকারী বিদেশি শেকড়ের মানুষের অনুপাত ২০০৯ সালের ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশে৷ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন রিসার্চ বা বিআইবি৷ সংস্থার মতে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিকের আগমন এবং সংকটপূর্ণ অঞ্চল থেকে শরণার্থী আসা এর মূল কারণ৷

বিআইবি-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানির ব্রেমেনে ৩৬.৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অভিবাসন ইতিহাস রয়েছে৷ ট্যুরিঙ্গিয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৭.৮ শতাংশ৷ তবে জার্মানির পূর্বাংশের রাজ্যেগুলোতে সে অনুপাত বেশি নয়৷ অন্যদিকে হামবুর্গে অভিবাসীদের অনুপাত ৩৩.৯ শতাংশ এবং বার্লিনে ৩৩.১ শতাংশ৷ বিআইবির তথ্য মতে, বড় শহরগুলোতে নতুন আভিবাসী বেশি আসায় ছোট শহরগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে বড় শহর এবং রাজ্যগুলোতে মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষের সংখ্যাও এখন বেশি৷ জার্মানির হেসেন এবং বাডেন ভুর্টেমব্যাগের মতো অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাজ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা থাকায় সেখানে মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ডের সংখ্যাও বেশি৷ হেসেন রাজ্যে এই সংখ্যা ৩৪.৪ শতাংশ এবং বাডেন ভুর্টেমব্যাগে ৩৩.৮ শতাংশ৷

পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি হারে বিদেশি এসেছে ৫০ থেকে ৭০ এর দশকে পরিবারসহ অতিথি শ্রমিক হিসেবে৷
-এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, অবৈধভাবে নিজ জলসীমায় প্রবেশের দায়ে তারা যদি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে ডুবিয়েও দিত, তবু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধত না। তিনি বলেন, রুশ জলসীমায় ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের প্রবেশ করার ঘটনার পেছনে ওয়াশিংটনের উসকানিমূলক ভূমিকা ছিল। গত বুধবার তিনি এ অভিযোগ করেন।

এর আগে রাশিয়া হুঁশিয়ার করে বলেছে, ক্রিমিয়ার কাছে সমুদ্রসীমায় আবার ব্রিটিশ জাহাজ উসকানিমূলক তৎপরতা চালালে মস্কো তার ওপর বোমা ফেলবে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় রাশিয়া তার দখলদারি প্রতিষ্ঠা করলেও যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এ উপদ্বীপকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়নি।

ভোটারদের সঙ্গে বার্ষিক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বর্তমান এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত কি না। জবাবে বলেন, ‘অবশ্যই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়েও দিতাম, তবু বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্মুখীন-এটা কল্পনা করা যেত না। কেননা যারা উসকানি দিচ্ছে, তারা জানে এ যুদ্ধে তারা জিতবে না।’

এই উসকানির পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশ রয়েছে অভিযোগ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের অনুপ্রবেশের ঘটনায় রাশিয়ার সাড়া কেমন হয়, তা দেখতে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান গ্রিস থেকে আকাশে উড্ডয়ন করেছিল। তিনি বলেন, এ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কেননা জেনেভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করার পরই ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্য: নতুন আইনে আশ্রয়প্রার্থীদের দ্বীপে পাঠানোর পরিকল্পনা

কোন আশ্রয়প্রার্থী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে তাদেরকে দেশটির অধীনে থাকা বিভিন্ন দ্বীপে স্থানান্তর করা হবে৷ এমন একটি আইন সংসদে তুলতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার যাকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকরা৷

আগামী সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ন্যাশনালিটি অ্যান্ড বর্ডার্স বিল’ নামের নতুন আইন তুলতে যাচ্ছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল৷ এই আইনের একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশটিতে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডের বাইরে কেন্দ্র খোলা হবে৷ অনিয়মিত পথে কেউ যুক্তরাজ্যে আসলে তাকে পাঠানো হবে সেখানে৷ প্রস্তাবিত দ্বীপগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আটলান্টিক সমুদ্রের অ্যাসসেনশন, জিব্রাল্টার ও আইল অব ম্যান৷

চলতি বছর বিপুল সংখ্যক অভিবাসী অনিয়মিত পথে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে এসেছেন৷ এরই মধ্যে সংখ্যাটি পাঁচ হাজার ৬০০ জন ছাড়িয়েছে৷ এই স্রোত ঠেকাতে গত মার্চেই প্রাথমিক পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করে যুক্তরাজ্য সরকার৷

চলতি মাসের শুরুতে প্রায় একই ধরনের একটি আইন পাস করেছে ডেনমার্কও৷ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটিতে আসা আশ্রয়াপ্রার্থীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে আফ্রিকাতে তৃতীয় কোন দেশে৷ এজন্য ডেনিশ সরকার রুয়ান্ডার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও করেছে৷ এছাড়াও তিউনিসিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর ও ইরিত্রিয়ার সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের প্রক্রিয়াটিও সম্পন্ন করবে যেই দেশে তাদেরকে পাঠানো হবে সেই দেশের কর্তৃপক্ষ৷ আশ্রয় আবেদন গৃহীত হলে ডেনমার্কে নয় বরং তাদের থাকতে হবে সেই দেশেই৷ অর্থাৎ, কাউকে যদি রুয়ান্ডায় পাঠানো হয় এবং তার আশ্রয় আবেদন গৃহীত হয় তাহলে সেই অভিবাসীকে রুয়ান্ডাতেই থাকতে হবে৷

যুক্তরাজ্যের সরকার তাদের প্রস্তাবিত আইন নিয়ে ডেনমার্কের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম টাইমস৷ আফ্রিকায় দুই দেশই যাতে একটি আবেদন প্রক্রিয়া কেন্দ্র ভাগাভাগি করতে পারে সেই সম্ভাবনা নিয়ে প্রীতি প্যাটেল আলাপ করেছেন ডেনিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ৷
টাইমস বলছে, নতুন আইনের মূল লক্ষ্য হল যারা ফ্রান্সের মতো ইউরোপের অন্য দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন সেসব অভিবাসীকে নির্বাসনে পাঠানো৷ মূলত যেকোন উপায়ে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ টাইমসের সূত্র বলছে, সরকার এমন একটি ব্যবস্থা করতে চায় যার মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের কাছে আর আকর্ষণীয় থাকবে না৷

ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনাটি এনজিও ও অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর প্রবল বিরোধিতায় পড়েছে৷ যুক্তরাজ্যের রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমোন একে ‘ঝুঁকিতে থাকার মানুষদের প্রতি নিষ্ঠুর ও নির্মম শত্রুতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন৷

লিবার্টি নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা সমালোচনা করে বলেছে পরিকল্পনাটি অভিবাসীদের আরো বড় ধরনের মানবাধিকার ঝুঁকিতে ফেলবে৷
বিরোধী দল লেবার পার্টিও প্রস্তাবিত আইন নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বলেছে তারা এর বিপক্ষে ভোট দিবে৷ মিরর এর প্রতিবেদনে, লিবারেল ডেমোক্রেট দলের একজন মুখপাত্র প্রস্তাবটিকে ভয়াবহ ও অমানবিক হিসেবে অভিহিত করেছেন৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র ম্যাথিও সাল্টমার্শ বিবিসি রেডিওকে বলেছেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য মূলত সমস্যার ভার আরেকজনের কাঁধে চাপাচ্ছে৷ তার মতে আন্তর্জাতিক শরণার্থী ব্যবস্থাপনার বিষয়টি প্রত্যেকের সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল৷

তবে ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র টাইমসকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, সমালোচনাকারীরা তাদের নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে আসতে এরই মধ্যে ব্যর্থ হয়েছেন৷
সূত্র -ইনফোমাইগ্রেন্টস

ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দায় জার্মান প্রেসিডেন্ট

তিন দিনের ইসরায়েল সফরে গেলেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার। সেখানে তিনি ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলে পা দিয়ে জার্মান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জার্মানি তো বটেই, বিশ্বের যেখানেই ইহুদিবিদ্বেষ দেখা দেবে, সেখানেই কড়া হাতে তার মোকাবিলা করতে হবে। স্টাইনমায়ার বলেছেন, ”বিশ্বে ইহুদিবিদ্বেষ আছে। তাই আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। জার্মানি এই বিষয়ে ইসরায়েলের পাশেই থাকবে।”

জার্মান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, জার্মানিতে এবং বিশ্বের অন্য জায়গায় সিনাগগগুলিকে পুলিশি সুরক্ষা দেয়া উচিত। তিনি দুই বছর আগে হালিতে দক্ষিণপন্থিদের সিনাগগ আক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ”সেসময় যে ভয়ংকর কাণ্ড হয়নি, সেটা মিরাক্যাল।”

এক বছর আগেই তার ইসরায়েল সফর করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে স্টাইনমায়ারের সফর সে সময় হয়নি। এই সফরে তিনি ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনেটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইসরায়েলের একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে স্টাইনমায়ার বলেছেন, ”ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে।” মাসখানেক আগেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রবল লড়াই হয়েছে। গাজায়২৪৮ জন ফিলিস্তিনি ও ১২ জন ইয়রায়েলের মানুষ মারা গেছেন। তারপর জার্মান প্রেসিডেন্টের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার তিনি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনেট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।

সাক্ষাৎকারে স্টাইনমায়ার জানিয়েছেন, তিনি দুই-রাষ্ট্র নীতির পক্ষে। এটাই সমাধানের প্রধান সূত্র হওয়া উচিত। নতুন প্রশাসনকে ফিলিস্তিনিদের আস্থা অর্জন করতে হবে। কিন্তু ইসরায়েলের সাবেক শাসকরা এই নীতির বিরোধিতা করে এসেছেন।
স্টাইনমায়ার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের মতো জার্মানিও চায় না, ইরান পরমাণু বোমা বানাক। তবে এই বিষয়ে ইসরায়েল ও জার্মানি সবসময় একই পথে হাঁটে না।

সাক্ষাৎকারে জার্মানির প্রেসিডেন্ট এটাও বলেছেন যে, সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সময় জার্মানিতে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গিয়েছিল। ইহুদিবিদ্বেষ, ইসরায়েলের পতাকা পোড়ানোর মতো ঘটনাকে তিনি অপরাধ বলে মনে করেন।
জার্মানিতে অবশ্য প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা খুবই কম। আসল ক্ষমতা চ্যান্সেলারের হাতে।
-এএফপি

রাশিয়ার ‘ব্রুট ফোর্স’ সাইবার প্রচারণার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সাইবার বিশ্বে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আবারও সতর্ক করেছে। সরকারী সংস্থা, প্রতিরক্ষা ঠিকাদার, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি রাজনৈতিক দলগুলির সিস্টেমগুলিতে বার বার প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন অভিযোগ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এবং ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের এক যৌথ পরামর্শদাতা বৃহস্পতিবার বলেছে, রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা, জিআরইউ ২০১৯ সাল থেকে একটি “ব্রুট ফোর্স” অভিযান চালাচ্ছে – যেখানে তারা বিভিন্ন ই-মেইল লগইন জোগাড় করে পাসওয়ার্ডগুলি অনুমান করে ক্রমাগত ঢুকবার চেষ্টা করছে যতক্ষণ না হ্যাকাররা প্রবেশ করতে পারছে।

ঐ পরামর্শ অনুযায়ী “সিস্টেমে প্রবেশ করার পর অনেক সুপরিচিত কৌশল এবং পদ্ধতি (টিটিপি) একত্র করে, নিরাপত্তার আবরণ সরিয়ে লক্ষ্যকৃত নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।” ঐ পরামর্শে উল্লেখ করা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর ও বিভিন্ন সরকারী সংস্থা সহ বিদেশের কয়েক শতাধিক সংস্থা্কে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

মানব পাচার রোধে পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য ১৭টি দেশকে দোষারোপ করেছে যুক্তরাস্ট্র

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর মানব পাচার বিষয়ে যথাযথ কোন পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য ১৭টি দেশকে দোষারোপ করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বার্ষিক “ট্র্যাফিকিং ইন পারসন রিপোর্ট” এ এই ঘোষণা দেয়া হয়।

প্রতিবেদনে ১৮৮টি দেশের মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ওপর ভিত্তি করে চারটি স্তরে প্রত্যেকটি দেশকে স্থান দেয়া হয়েছে। প্রথম স্তরে রয়েছে শ্রেষ্ঠ তালিকা এবং তৃতীয় স্তরে সবচেয়ে খারাপ তালিকা। দুটি মধ্যম স্তর রয়েছে: স্তর ২ এবং স্তর ২ পর্যবেক্ষণ তালিকা। যে দেশসমূহকে তৃতীয় স্তরে স্থান দেয়া হয়েছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক বিদেশী সহায়তা সীমিত করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন “এটি বিশ্বব্যাপী একটি সংকট, এটি মানবিক দুর্দশার এক বিরাট উৎস।” ব্লিংকেন আরও বলেন শিশু সহ মোট ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ এর শিকার হচ্ছে। “এই অপরাধ মানবাধিকারকে অপমান করে মানব মর্যাদাকে অপমান করে।”

আফগানিস্তান, আলজেরিয়া,মিয়ানমার, চীন, কোমোরোস, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ইরান, নিকারাগুয়া, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনিজুয়েলা তৃতীয় স্তরে রয়েছে। এ বছর তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে গিনি বিসাউ এবং মালয়েশিয়া। পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের বলেছেন, চীনকে তৃতীয় স্তরে রাখা হয়েছে। “জোর করে শ্রমিকদের কাজ করানোর সরকারী নীতি বিশেষ করে ঝিনজিয়াং এর আটক শিবিরে, যেখানে মূলত পেশাগত প্রশিক্ষণের অজুহাতে জাতিগত ও ধর্মীয় মানুষদের লক্ষ্যে পরিণত করা হয়েছে, এই কারণে চীনকে তৃতীয় স্তরে রাখা হয়েছে।

ব্লিংকেন বলেন এই দেশগুলি মানব পাচার রোধে ন্যূনতম পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। ব্লিংকেন দেশগুলিকে “বৈষম্য এবং অবিচারের অমানবিক চক্র” বলে অভিহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ ছয়টি মিত্রদেশ – সাইপ্রাস, ইসরাইল, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ডকে – মানব পাচার রোধে আন্তর্জাতিক মান পূরণ না করার জন্য প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে নামিয়ে দিয়েছে।

ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে মা হতে চলেছেন অস্ট্রেলিয় তরুণী

মৃত প্রেমিকের দেহ থেকে শুক্রাণু নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এলিডি ভ্লাগ নামের এক তরুণী। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত অলিম্পিয়ান অ্যালেক্স পুলিনের বান্ধবী ছিলেন। অ্যালেক্স দু’বার ওয়ার্ল্ড স্নোবোর্ড চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছেন। কিন্তু গত বছর জুলাইয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর।

আট বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। সন্তান ধারণের চিন্তাভাবনা করছেন তখনই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রেমিকের। সম্প্রতি প্রেমিকা দাবি করেছেন, প্রেমিকের মৃত্যুর পরই তাঁর দেহ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে রেখেছিলেন তিনি। সেই শুক্রাণুর সাহায্যেই ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তিনি। আগামী অক্টোবরে নাকি জন্মও নেবে তাঁদের সেই সন্তান।

মৃত্যুর আগে দীর্ঘ ৮ বছর সম্পর্ক ছিল অ্যালেক্স এবং এলিডির। গত বছরই অ্যালেক্সের কাছে মা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তার কিছু দিন পরই ঘটে দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর অ্যালেক্সের শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে রেখেছিলেন এলিডি। তার সাহায্যেই মা হতে চলেছেন তিনি।

সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এলিডি নিজের বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বুব্বা চ্যাম্প তুমি অক্টোবরে আসছো। তোমার বাবা এবং আমি বহু বছর ধরে তোমাকে পৃথিবীতে আনার স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্ন হঠাৎ অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল দুর্ঘটনা। চাম্পি তুমি আবার পৃথিবীতে ফিরে আসছো। এ রকম উত্তেজনা আমার আগে কখনও হয়নি।’ এর সঙ্গে আইভিএফ পদ্ধতির কথাও পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।