ওজন বেশি থাকলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে। এমনকি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তির ঝুঁকিও বেশি থাকে। চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ড্রোক্রাইনোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।
ল্যানসেটের ওই গবেষণা উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলছেন, ওজন বেশি থাকার কারণে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের গবেষণা এই প্রথম।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ৬৯ লাখের বেশি মানুষের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অথবা মারা গেছেন এমন ২০ হাজারের বেশি করোনা রোগীর তথ্য এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গবেষকেরা বলছেন, বিএমআইয়ের (উচ্চতা অনুসারে ওজন) সূচকে যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের করোনায় গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে। এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৫ শতাংশ বেশি। আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তির ঝুঁকি ১০ শতাংশ বেশি।
গবেষকেরা আরও বলছেন, শুধু ওজন যাঁদের বেশি তাঁরাই ঝুঁকিতে আছেন, বিষয়টি এমন নয়। যাঁদের ওজন কম, করোনায় সংক্রমিত হলে তাঁদের ক্ষেত্রেও অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে।
গবেষণা অনুসারে ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের কারণে করোনার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ৬০ বছরের বেশি যাঁদের বয়স, তাঁদের অতিরিক্ত ওজনের কারণে ঝুঁকি কম হয়। ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ওজনের কারণে করোনায় গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কম থাকে।