8.9 C
Düsseldorf

বেল্ট এন্ড রোডের বিপরীতে কতটা কার্যকর হবে D3W?

Must read

চীনের বাধ্যতামূলক শ্রম, আন্তর্জাতিক বানিজ্য নীতি অনুসরণে অনিচ্ছা এবং সমস্যাসঙ্কুল আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা এ সব সহ চীনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে মনে হচ্ছে জি-সেভেনের নেতারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছেন। ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে জি-সেভেন এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের পর বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, “বেশ কিছু আগ্রহোদ্দীপক আলোচনা হয় এবং কিছুটা দ্বিমতও প্রকাশ করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাটি বলেন, জি-সেভেন নেতারা চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যবাদী হুমকি সম্পর্কে সহমত পোষণ করেন, তবে এর কতখানি আগ্রাসী জবাব দেয়া যায় সে সম্পর্কে দ্বিমত প্রকাশ করেন। ইটালি, জর্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের বিরুদ্ধে এতটা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে রাজি নয়, তারা বরঞ্চ, “সহযোগিতামূলক সম্পর্কের” উপর জোর দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলছে যে, চীনের বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগের বিপরীতে তারা নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য অবকাঠামোগত অর্থায়নের উপায় ঘোষণা করবে এই জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে। এই উদ্যোগের নাম হচ্ছে, “Build Back Better World” অর্থাৎ আবার উন্নততর বিশ্ব নির্মাণ করুন। আজই ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে এই উদ্যোগের সূচনা করা হবে।

একজন ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিষয়টি হবে মূল্যবোধ সম্পন্ন, স্বচ্ছ এবং টেকসই। দ্বিতীয় আরেকজন ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বিশ্বস করি আমরা উচ্চ মানের সুযোগ দিয়ে বেল্ট এন্ড রোডকে পরাস্ত করতে পারবো। আর আমরা সেই সুযোগ দেবো আমাদের মডেল সম্পর্কে আত্মবিশ্বসাসের সঙ্গে যেখানে আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধের প্রতিফলন রয়েছে। ২০১৩ সালে চীন প্রায় ৭০টি দেশে বিনিয়োগের জন্য এই বেল্ট এন্ড রোড নামে বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করে। এটি তাদের বৈদেশিক নীতির মূল উপাদান।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা বলছেন “Build Back Better World”, যা কীনা সংক্ষেপে B3W বলে পরিচিত তার লক্ষ্য হচ্ছে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলোকে বিনিয়োগে সক্রিয় করে তোলা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোটি কোটি ডলারের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করা এবং একই সঙ্গে শ্রম, পরিবেশ ও স্বচ্ছতার মান বজায় রাখা।

প্রশাসনিক কর্মকর্তাটি বলছেন জি-সেভেনের অন্যান্য দেশ, বেসরকারি খাত এবং অন্যান্যদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য কোটি কোটি ডলার চিহ্নিত করে রাখবে। তা ছাড়া জি-সেভেনের দেশগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনে বাধ্যতামূলক শ্রমের প্রসঙ্গও উত্থাপন করছেন বিশেষত ঝিনজিয়াং’এর উইঘুরে। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলছেন, এ বিষয়ে বাইডেনের বিবৃতিতে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে যে মানবাধিকার রক্ষা করাকে জি-সেভেন বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং ভোক্তাদের ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনে বাধ্যতামূলক শ্রম নির্মূল করতে একত্রে কাজ করে যাবে।

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট