মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি (৬৮) ‘সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে’ আহত হয়ে মারা গেছেন। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আজেম বেবমেনদাও আগৌনা গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতির বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, ‘সার্বভৌম জাতিকে রক্ষা করতে গিয়ে যুদ্ধের ময়দানে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
১১ এপ্রিল দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার এক দিন পর তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়। ৭৯ শতাংশ ভোট পান তিনি। বেঁচে থাকলে তিনি ষষ্ঠবারের মতো ক্ষমতায় আসতেন। তবে তাঁর দমনপীড়নের অভিযোগ তুলে বিরোধীদের বেশির ভাগই নির্বাচন বর্জন করে।
গত সোমবার বিদ্রোহীরা রাজধানী এনজামিনা অভিমুখে কয়েক শ কিলোমিটার এগিয়ে এলে ইদ্রিস ডেবি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মিলে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে ময়দানে নামেন। সেখানে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে রাজধানীতে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজধানী থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই বিদ্রোহীদের রুখে দিতে সক্ষম হয় চাদের সেনারা।
বিবিসি জানায়, এরই মধ্যে দেশটির সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ১৮ মাস সরকার পরিচালনা করবে মিলিটারি কাউন্সিল। ইদ্রিসের ছেলে ৩৭ বছর বয়সী কাকার নেতৃত্বে চলবে মিলিটারি কাউন্সিল। দেশজুড়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
১৯৯০ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতায় আসেন। ৬৮ বছরের ইদ্রিস আফ্রিকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শাসকদের একজন।
সামরিক বাহিনীর একজন জেনারেল রয়টার্সকে বলেন, ৩০০ বিদ্রোহীকে হত্যা ও ১৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। ৫ জন সেনা নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছে। তবে রয়টার্স এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আফ্রিকার সাহিল অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র ইদ্রিস ১৯৯০ সালে ক্ষমতা দখল করেন। তবে তেলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছিল।