ফ্রান্সের আঞ্চলিক নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডেও উগ্র ডানপন্থি মেরি লা পেন-এর ন্যাশনাল র্যালি কোথাও বিজয়ী হতে পারেনি। নির্বাচনে খারাপ পারফরমেন্স করেছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দলও। অন্যদিকে বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে মধ্য-ডানপন্থি রিপাবলিকান ও সোশ্যালিস্ট পার্টির। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট পড়েছে রেকর্ড সর্বনিম্ন। বৈধ ভোটারদের মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগেরও কম মানুষ ভোট দিয়েছেন। আগামী বছর এপ্রিলে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় এই নির্বাচনের ফলকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফা আঞ্চলিক নির্বাচনে খুব খারাপ ফলাফল করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি লা রিপালিক এন মার্চে পার্টি।
এবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এখানে লক্ষ্যণীয় ২০১৫ সালে সর্বশেষ যখন আঞ্চলিক নির্বাচন হয়েছিল তখন ম্যাক্রোঁর দলের অস্তিত্বই ছিল না। ফলে এবারের আঞ্চলিক নির্বাচন তার দলের জন্য প্রথম।
নির্বাচনে প্রথমবার আল্পস কোটে ডি’আজুর প্রদেশে বিজয় অর্জন করবেন বলে আশা করেছিলেন মেরি লা পেন। কিন্তু রোববারের ফল তার সেই আশায় বড় রকমের আঘাত নিয়ে এসেছে। তিনি আশা করেছিলেন, ওই প্রদেশে তিনি বিজয়ী হলে ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিজয়ী হওয়ার আশা আরো সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু ওই প্রদেশে আরএনের প্রার্থী থিয়েরি মারিয়ানি হেরে গেছেন রিপাবলিকান রিনাউদ মুসেলিয়েরের কাছে। এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের দায়ী করেছেন মেরি লা পেন। তিনি বলেছেন, তাকে ও তার দলকে ক্ষমতায় যাওয়া আটকাতে অস্বাভাবিক এক জোট গঠন করেছিল বিরোধীরা।