13 C
Düsseldorf

ফাঁস হয়ে গেল চীনের গোপনীয় নথি

Must read

গোলজার হোসাইন খান
গোলজার হোসাইন খান
আমি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর একজন অবসরপ্রাপ্ত এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার।অতি সাধারণ মানুষ। কোন উচ্চাভিলাষ নেই। সাংসারিক বোধবুদ্ধি শূন্যের কোঠায়। হেরে যাওয়া মানুষের পাশে থাকি।এড়িয়ে চলি স্বার্থপরতা।বিনম্র শ্রদ্ধায় নত হই সৃষ্টিশীল-পরিশ্রমী মানুষের প্রতি আর ভালবাসি আমার পেশাকে।

সার্স করোনাভাইরাসকে ‘জৈব’ অস্ত্ররূপে গড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বছর পাঁচেক আগেই হয়েছিল। ফাঁস হওয়া একটি চিনা নথিতে মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই নথিই হাতে আসে সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রিকা ‘উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়া’-র। নথির তথ্য তুলে ধরে তাদের বক্তব্য, অতিমারির আগে ২০১৫ সালেই গোটা পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন চিনের সামরিক বিজ্ঞানীরা। সার্স করোনাভাইরাস আদতে এক নতুন ধরনের ‘জেনেটিক অস্ত্র’, যাকে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মারণ ভাইরাসে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

ফাঁস হওয়া চিনা নথি ভুয়ো কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট পটারকে। তিনি জানান, ‘‘ওই চিনা নথি একেবারেই ভুয়ো নয়। কিন্তু এতে যা লেখা রয়েছে, তা গবেষকদেরই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে, বিষয়টি কতটা গুরুতর।’’

‘উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়া’ জানাচ্ছে, ওই চিনা নথির নাম ‘দ্য আনন্যাচারাল অরিজিন অব সার্স অ্যান্ড নিউ স্পিসিস অব ম্যান-মেড ভাইরাসেস অ্যাজ জেনেটিক বায়ো-ওয়েপন’। সেখানে চিনা গবেষকদের অনুমান, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই হবে ‘জৈব অস্ত্র’ দিয়ে, আর সেই কারণেই সার্স করোনাভাইরাসকে মারণ ভাইরাস হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল চিন। এ বিষয়ে ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট’-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর পিটার জেনিংস বলেন, ‘‘নথি থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতিকে কী ভাবে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারেই গবেষণা করছিলেন চিনা গবেষকরা।’’ তাঁর বক্তব্য, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় এই কারণেই বিশেষ উৎসাহ দেখায়নি চীন। তাঁর কথায়, ‘‘এই ভাইরাস যদি বাজার থেকে ছড়াত, সে ক্ষেত্রে চিনও এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে আগ্রহী হত।’’

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট