কর্মস্থলে না গিয়ে ঘরে বসে বেতন পান। এমন আয়েশী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কাজ না করে টানা ১৫ বছর ধরে বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইতালির এক হাসপাতালকর্মীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কাতানজারোর চাচাও হাসপাতালের কর্মী ছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে ২০০৫ সাল থেকে তিনি কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। ইতালির বার্তা সংস্থা আনসার খবরে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, চাঁদাবাজি এবং কর্মস্থলকে অপব্যবহার করার অভিযোগের তদন্ত চলছে।
কোনো কাজ না করে ১৫ বছর ধরে তিনি মোট ৫ লাখ ৩৮ হাজার ইউরো বেতন নিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হাসপাতালের ছয় ম্যানেজারের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালানো হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ও প্রতারণার বিষয়ে পুলিশের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৫ সালে একটি হাসপাতালে নিযুক্ত করা হয় এ সরকারি কর্মচারীকে। তখন থেকে তিনি কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ আরও জানায়, হাসপাতাল ম্যানেজারকে হুমকি দিয়ে ওই ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত কোনো অভিযোগ পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ওই ম্যানেজার অবসরে চলে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি ঢাকা পড়ে যায়। পরবর্তী ম্যানেজার বা মানবসম্পদ বিভাগের বিষয়টি এত বছর ধরে নজরেই পড়েনি।