8.8 C
Düsseldorf

নৌ-মহড়ায় উত্তাল কৃষ্ণসাগর

Must read

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের নৌ সেনার একটি জাহাজকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি, জাহাজটি বেআইনি ভাবে তাদের সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল, তাই ওয়ার্নিং ফায়ার করা হয়। জাহাজের রাস্তা ধরে বোমাবর্ষণও করা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের দাবি, তাদের জাহাজটি আইনভঙ্গ করেনি। ইউক্রেনের জলপথ দিয়ে জাহাজটি যাচ্ছিল। রাশিয়ার দাবি ভিত্তিহীন।

জাহাজটি আসলে ছিল ক্রিমিয়ার কাছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলে নেয়। আগে তা ছিল ইউক্রেনের। কিন্তু অামেরিকা, যুক্তরাজ্য সহ একাধিক দেশ রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে স্বীকৃতি দেয় না। ফলে যুক্তরাজ্যের দাবি, ক্রিমিয়ার জলসীমা ইউক্রেনের। রাশিয়ার নয়।

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রাশিয়ার এই বিতর্কের মধ্যেই কৃষ্ণসাগরে বিশ্বের বৃহত্তম নৌ-মহড়ার আয়োজন করলো অামেরিকা। এটাই রাশিয়াকে মার্কিন হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ছয়টি মহাদেশের ৩২ টি দেশ এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে কৃষ্ণসাগরে এই নৌ-মহড়া শুরু হয়েছে। তবে এবারের মহড়া সব চেয়ে বড়। বিভিন্ন দেশের পাঁচ হাজার নৌ-সেনা, ৩২টি জাহাজ, ৪০টি বিমান এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। ১৮টি স্পেশাল অপারেশন ফোর্স যোগ দিয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষিত ডাইভাররা আছেন।

নৌ-মহড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছে ইউক্রেন। অামেরিকার সঙ্গে তারাও এই মহড়ার আয়োজন করেছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রাশিয়ার বিতর্কেও বিবৃতি দিয়েছে ইউক্রেন। জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের জাহাজ তাদের জলসীমায় ছিল। নৌ-মহড়ার কড়া সমালোচনা করেছে পুতিন প্রশাসন। ক্রেমলিনের বক্তব্য, এই নৌ-মহড়া আসলে রাশিয়াকে খোঁচা দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাশিয়া জবাব দেবে।ক্রিমিয়া নিয়েও রাশিয়া নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। রাশিয়ার দাবি, ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ। ফলে ওই অঞ্চলের জলও তাদের আওতাধীন। সেখান দিয়ে যাতায়াত করতে হলে রাশিয়ার অনুমতি নিতে হবে, ইউক্রেনের নয়। তবে কৃষ্ণসাগরের যে অংশ নৌ-মহড়ার আয়োজন হয়েছে, তার থেকে ক্রিমিয়ার দূরত্ব খুব বেশি নয়।

-রয়টার্স

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট