গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে অনিচ্ছাকৃতভাবে ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। তবে এই সংখ্যাটা বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রকাশিত মৃতের সংখ্যা থেকেও কম। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) এ খবর প্রকাশ করেছে আরব নিউজ।
বুধবার প্রকাশিত পেন্টাগনের রিপোর্টের বরাত দিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের বিভিন্ন সময় ইরাক, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইয়েমেন ও নাইজেরিয়ায় এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২০ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অপারেশনের সময় অন্তত ২৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই আফগানিস্তানে। পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুসারে সংখ্যাটা ২০ জন।
এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সোমালিয়ায় একজন এবং মার্চে ইরাকে একজন নিহত হয়েছেন। আর ২৩তম জন কোথায় এবং কবে নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
তথ্যমতে, গত বছর ক্ষতিগ্রস্থ বেসামরিক পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পেন্টাগনকে ৩ মিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ দেয় মার্কিন কংগ্রেস। কিন্তু সেই ক্ষতিপূরণ এখনো দেওয়া হয়নি। বিশ্বের যে সব অঞ্চলে মার্কিন সেনারা রয়েছে সেখানে প্রতিনিয়ত আরো বেশি বেসামরিক মানুষের নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করছে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো।
এনজিও প্রতিষ্ঠান এয়ারওয়ারস জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে ১০২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যা পেন্টাগনের প্রকাশিত রিপোর্টের থেকেও পাঁচগুন বেশি। আফগানিস্তানের ইউনাইটেড মিশনের তথ্যমতে কেবল সেখানেই নিহতের সংখ্যা ৮৯ জন এবং আহত ৩১ জন।