বাসায় বসেছে শালিস। আমার বিরুদ্ধে গুরুতর নালিশ। আমাকে নাকি প্রায়ই বাটার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভাগ্য ভালো দোকানে কোন সেলস গার্ল নেই। অন্ততঃ ইভ টিজিং এর দায় হতে বাঁচা গেল। বিচারপতি আত্মজ গম্ভীর ভাবে জানতে চাইলো, কেন?
: তোমার পায়ে মেয়ের পাঠানো নাইকির স্নিকার, জামাইয়ের দেয়া ইটালির কাউবয় বুটে ধূলো জমছে সু-র্যাকে। তারপরও কোন বিলাসিতায় বাটার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? যদি পছন্দের কিছু থাকে তবে বলো-কিনে দেই।
উত্তর জানা নেই। তথাপি প্রশ্নটা ঘুরপাক খেতে থাকে। কেন চেয়ে থাকি বাটার শোরুমে।
সত্যিটা বলতে চাইলাম।
এক কিশোরের না পাওয়ার বেদনার গল্প। পেছনে বেল্ট লাগানো বাটার দু ফিতের এক জোড়া চামড়ার স্যানডেল। দাম ছিল বত্রিশ টাকা পচানব্বই পয়সা। খুব শখ হয়েছিল পায়ে দেয়ার। কিন্তু চাইতে পারিনি কখনো। যৌথ পরিবারের অনেকগুলো ভাইবোনের জন্য এতো দামী স্যানডেল কেনার সামর্থ্য ও ছিল না। হয়তো জীবনভর সেই স্যানডেল জোড়াই খুঁজে ফিরি। আজ বলতে চাইলাম, কিনে দিতে পারবি আমার অভিমান ভরা সেই কৈশোর। কিন্তু গলার কাছে কি একটা দলার মতোন আটকে গেল। বলা হলো না।