রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষপ্রয়োগের ঘটনায় দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান গতকাল রোববার এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। খবর এএফপির।
নাভালনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। গত জানুয়ারিতে দেশে ফেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি চোখে পড়ার মতো। এই পরিস্থিতিতে গতকাল সুলিভান বলেন, ‘নাভালনির ওপর বিষপ্রয়োগের ঘটনায় ইতিমধ্যে আমরা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘নিজ দেশের মাটিতে একজন নাগরিকের ওপর রাসায়নিক এজেন্ট প্রয়োগের খেসারত হিসেবে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা এর মধ্য দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি যে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি না।’
এদিকে রাশিয়াও পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে তাঁরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
নাভালনির ওপর বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল গত বছরের ২০ আগস্ট। এর ফলে সাইবেরিয়া থেকে আকাশপথে মস্কো যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। তাঁকে মস্কো শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে জার্মানিতে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে জার্মান সরকার জানায়, নোভিচক গ্রুপের নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল নাভালনির ওপর। যদিও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার এক এজেন্ট এই বিষপ্রয়োগের ঘটনা ফাঁস করে দেন।
সিএনএন ও অনলাইনভিত্তিক তদন্তকারী দল বেলিংক্যাট জানায়, রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থার টক্সিন দলের ওই সদস্য কোনসতানতিন কুদ্রেইয়াভিস্তেভ বলেছেন, প্রাণঘাতী রাসায়নিক নোভিচক নাভালনির অন্তর্বাসে রাখা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চক্ষুশূল নাভালনি। কারণ, তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির নানা তথ্য প্রকাশ করেছেন। ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া দলের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন।