শুধু জামা-কাপড় অবশ্য নয়, রয়েছে ফ্যাশন সংক্রান্ত সব কিছুই এই ব্র্যান্ডের কাছে, বিশ্ব জুড়ে যার জনপ্রিয়তাও গগনচুম্বী। সেই বেচাকেনার নিরিখেই সোমবার বিশ্বের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তির তকমা পেলেন ফরাসি ফ্যাশন টাইকুন বার্নার্ড আর্নল্ট।
ফোর্বস রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ার্সের তালিকা অনুসারে ১৮৬.৩ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তির অধিকারী বার্নার্ড। বর্তমানে আমাজনের জেফ বেজোসের রয়েছে ১৮৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। যার থেকে ৩০০ ডলার উর্ধ্বে রয়েছেন লুই ভিতঁ মোয়া হেনেসি সংক্ষেপে LVMH-এর চেয়ারম্যান বার্নার্ড। অন্য দিকে টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক এর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৭.৩ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং এই সব ধনকুবেরদের ছাড়িয়ে তালিকার একেবারে শীর্ষে নিজের জায়গা করলেন ফরাসি এই ফ্যাশন টাইকুন।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭২ বছর বয়সী আর্নল্টের সম্পদ ২০২০ সালের মার্চ মাসে ৭৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে আজকের দিনে ১৮৬.৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং গত ১৪ মাসেই ১১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পত্তি বেড়েছে তাঁর। করোনা মহামারীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাঁর বিলাসবহুল গ্রুপ LVMH-এর এই অসাধারণ পারফরম্যান্স তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
LVMH, যার মধ্যে রয়েছে আরও বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডস যেমন Fendi, Christian Dior এবং Givenchy। সোমবার ব্যবসা শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই যা বেড়েছে ০.৪ শতাংশ। LVMH গত মাসে প্রথম ত্রৈমাসিকের বিক্রয় প্রবৃদ্ধির কথা প্রকাশ করে, যা চীন এবং অন্যান্য এশিয়ার দেশগুলির দ্বারা চালিত বিশ্লেষকদের অনুমানকেও হার মানায়।
ক্রিশ্চিয়ান ডিয়রের প্যারিসের মালিকের শেয়ার এই বছর ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে এলন মাস্ককে দ্বিতীয় স্থানে রেখে ৭২ বছর বয়সী আর্নল্ট উঠে এলেন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার একেবারে শীর্ষে।
ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ার্স র্যাংকিং এ বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের দৈনিক উত্থান-পতনের বিষয়টি ট্র্যাক করে হয়ে থাকে। এই সম্পদ-ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্মটি বিলিয়নিয়ার হওয়ার জন্য ফোর্বসের দ্বারা নিশ্চিত প্রতিটি ব্যক্তির নিট মূল্য এবং র্যাঙ্কিংয়ের উপর অনবরত আপডেট দিয়ে থাকে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল পণ্য প্রস্তুতকারকের শেয়ার অর্জনের জন্য আর্নল্ট সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছেন।