ইংরজিতে চা-এর প্রতিশব্দ হলো Tea। গ্রীকদেবী থিয়ার নামানুসারে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল। চীনে ‘টি’-এর উচ্চারণ ছিল ‘চি’। পরে হয়ে যায় ‘চা’। সে যাই হোক এককাপ গরম চায়ে চুমুক মানেই লাভবান হওয়া!
এক কাপ চায়ে আপনি কাকে চান জানা নেই, তবে এটা জেনে রাখুন যে সারা দিনে এক-দু’ কাপ চা পানে আপনি হয়ে উঠবেন প্রানবন্ত । কিন্তু কেন?
চায়ে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দূষণের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়। ত্বক সজীব রাখে। হোয়াইট টি’তে সব চেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে। কারণ এটি ব্ল্যাক বা গ্রিন টি’র চেয়ে কম প্রসেস করা হয়।
চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ অনেক কম
ভেষজ চায়ে একদমই ক্যাফিন থাকে না। অন্যান্য চায়ে ৫০%-এর কম ক্যাফিন থাকে। এর চেয়ে অনেক বেশি ক্যাফিন থাকে কফিতে। তাই কফির পরিবর্তে ভেষজ চা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর পানীয়।
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাঁরা সারা দিন তিন থেকে চার কাপ গ্রিন টি পান করেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০% আর স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫% কম। গ্রিন টি পছন্দের তালিকায় থাকলে বেছে নিতে পারেন মাচা টি। এটি আসলে গুঁড়ো করা গ্রিন টি। এক কাপ মাচা টি দশ কাপ গ্রিন টি’র সমান।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
প্রচুর পরিমাণে চা পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাড় সুরক্ষিত রাখে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাড় সুরক্ষিত রাখে চা। বিশেষ করে মোরিঙ্গা টিতে আছে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম। তাছাড়া এতে আছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে ইত্যাদি।
দাঁতের ক্ষয় রোধ করে
জাপানি গবেষকরা দাবি করেছেন যে চা পান করলে দাঁতের ক্ষয় কম হয়। কারণ যখন চা পান করা হয় তখন এটি ph স্তর বদলে দেয় এবং দাঁতে গর্ত হতে দেয় না। এনামেল ক্ষয়ও রোধ করে চা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
শরীরের মধ্যে রোগ ও জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে চা। তুলসি চায়ে সব চেয়ে বেশি এই গুন আছে।
ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে
যদি পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকে তাহলে বেশি করে চা পান করলে সেটা কিছুটা হলেও আটকানো যায়।
হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
ক্যামোমিল টি বা জিঞ্জার টি পান করলে পেটের সমস্যা ও গা-বমি ভাব দূর হয়।
এতে কোনও ক্যালোরি নেই
সব চেয়ে আনন্দের কথা হল চায়ে কোনও ক্যালোরি নেই। তাই যতই চা পান করা হোক না কেন, ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।