টাক। সেটা সুখ টাক বা দুখ টাক যাই হোক না কেন চুলওয়ালারা এ নিয়ে টুকটাক মশকরা করেই থাকে। বিয়ের বাজারে পাত্র হিসাবে এরা একটু ব্যাকফুটে থাকলেও দাম্পত্য জীবনে এরা হয় দুর্দান্ত। কিন্তু এই ঘোর করনা কালে টাকওয়ালাদের নিয়ে একটু আশংকার কথাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
টাকমাথার পুরুষরা চুলওয়ালা পুরুষের চেয়ে আড়াইগুণ বেশি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাপ্লাইড বায়োলজি ইনকরপোরেশন এ গবেষণা চালিয়েছে। খবর ডেইলি মেইলের।
পুরুষের মাথার চুল পড়ার জন্য এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেসিয়া নামের একটি জিন দায়ী। সাধারণত পঞ্চাশের বেশি বয়সী পুরুষদের ওপর এই জিন প্রভাব ফেলে। গবেষকরা চুলপড়া রোগে আক্রান্ত পুরুষদের সঙ্গে করোনা ইনফেকশনের গভীর যোগসাজশ খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে যেসব পুরুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশের টাক রয়েছে। এন্ড্রোজেন হরমোন করোনাভাইরাসের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
একটি গবেষণার অংশ হিসেবে ৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা। দেখা গেছে, সমবয়সী পুরুষ যাদের মধ্যে এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেসিয়া হরমোন বিশেষভাবে ক্রিয়াশীল, তাদের ৭৯ শতাংশ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসতাপালে ভর্তি হয়েছেন, যা স্বাভাবিক হারের চেয়ে আড়াইগুণ বেশি।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষক অ্যান্ডি গোরেন বলেন, আমাদের গবেষণা এখনও চলমান। ধারণা করছি, এন্ড্রোজেন হরমোনের মাধ্যমে কভিড-১৯ রোগী চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। গবেষণার ফলাফল ইউরোপিয়ান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি অ্যান্ড ভেনেরিওলজির ২০২১ সালের সিম্পোজিয়ামে উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারশের ত্বকবিশেষজ্ঞ লিদিয়া রুদনিকা বলেন, এ গবেষণায় মানবজিনের সঙ্গে কোভিড রোগের সম্পর্ক আবিস্কার করা গেলে চর্মরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে দারুণ এক অগ্রগতি হবে।