আগেই শেষ হয়ে গেছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন। ঘরোয়া ফ্রেঞ্চ লিগ জেতার সম্ভাবনাও খুব কম প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর। তারা প্রায় একই পথে হাঁটছিল ফ্রেঞ্চ কাপেও, চলে গিয়েছিল সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ার কাছাকাছি। তবে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে মিলেছে মুক্তি।
বুধবার রাতে ফ্রেঞ্চ কাপের সেমিফাইনালে দুইবার লিড নিয়েও নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ জিততে পারেনি পিএসজি। দুইবারই গোল শোধ দিয়েছে মপলিয়ের। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে ৬-৫ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছেন নেইমার জুনিয়র, কাইলিয়ান এমবাপেরা।
মপলিয়েরের ঘরের মাঠে লা মসন স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায়ই দলকে এগিয়ে দেন কাইলিয়ান এমবাপে। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হওয়া ঠিক আগে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা, গোল করেন গাইটান লাবোর্তে। ফলে ১-১ অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আবারও এমবাপে জাদু, মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই লিড নিয়ে নেয় পিএসজি। রাফিনহার কাছ থেকে বল পেয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফ্রান্সের পোস্টারবয়। কিন্তু এই লিডও ধরে রাখা যায়নি। ম্যাচের ৮৩ মিনিটের সময় ফের সমতা ফেরায় মপলিয়ের। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শুটআউটেও প্রথম পাঁচ শটে আসেনি কোনো ফল। প্রথমে শট নেয়া মপলিয়েরের পক্ষে একে একে গোল করেন তেজি সাভানিয়ের, অ্যান্ডি ডেলর্ট, স্টেফি মাভিদিদি, মিহাইলো রিস্টিক এবং গাইটান লাবোর্দে।
লক্ষ্যভেদে ভুল করেননি পিএসজি প্রথম পাঁচ শুটার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, হুলিয়ান ড্রাক্সলার, লেওনার্দো পারেদেস, মার্কুইনহোস এবং নেইমার।
তবে ষষ্ঠ শটে গিয়েই ভুলটা করেন স্বাগতিকদের জুনিয়র সাম্বিয়া। ফলে সুযোগ আসে পিএসজির সামনে। ছয় নম্বর শটে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে গোল করে দলকে ফাইনালে তুলে দেন ময়সেস কিন।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ লড়বে রুমিলি ভ্যালিয়েরস ও মোনাকো। এ ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে পিএসজির ফাইনাল হবে আগামী ২০ মে।