জেরুসালেমে ইসরায়েলের পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিক্ষোভকারীদের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় তিন ধরে সংঘর্ষ চলেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৯০ জন। এর মধ্যে বেশ কিছু শিশুও আছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানিয়েছে। সংঘর্ষের জেরে জেরুসালেম সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করার যে মামলার শুনানি সোমবার হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।
জেরুসালেম নিয়ে ইসরায়েলের ইহুদিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের সংঘাত বহুদিনের। ওই অঞ্চলটি কাদের, তা নিয়েই সংঘাত। ইসরায়েল বেশ কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল, জেরুসালেমের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই মোতাবেত উৎখাত করার নোটিশও জারি হয়েছিল। যা নিয়ে মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মামলায় ইসরায়েলের পক্ষেই রায় হতো।
শুক্রবার রাত থেকেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ফিলিস্তিনের আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ দমন করতে সেখানে পৌঁছায় ইসরায়েলের পুলিশ। রোববার বিকেলের পর থেকে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। পাল্টা আঘাত করে ইসরায়েলের পুলিশও। তাতে দুই পক্ষই আহত হয়েছে। ইসরায়েলের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। ইউনিসেফ সহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, ইসরায়েলের পুলিশের আক্রমণে একাধিক শিশুও আহত হয়েছে। তার মধ্যে এক বছরের শিশুও আছে। ঘটনার পর উত্তেজনা কমাতে আদালতের শুনানি বাতিল করা হয়।
ইসরায়েলের সরকার জানিয়েছে, গাজা থেকে হামাস দুইটি রকেট ছোড়ে জেরুসালেম লক্ষ্য করে। তাতেও বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। হামাসের পাল্টা দাবি, ইসরায়েলের পুলিশ নির্বিচারে রবার বুলেট ছুড়েছে।
এত কিছু সত্ত্বেও ইসরায়েল পুলিশের মুখপাত্র এলি লেভি জানিয়েছেন, সোমবার জেরুসালেম ডে প্যারেড বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। এই দিন জাতীয়বাদী ইসরায়েলিরা জেরুসালেমে প্যারেড করে। যা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরির যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
গোটা ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ। দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি করা হয়েছে। ইসরায়েল যাতে উত্তেজনা প্রশমনের ব্যবস্থা করে, তাও দাবি করা হয়েছে।
এএফপি