মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৬ জুন বৈঠকে বসবেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইউক্রেন নিয়ে উভয় দেশের বিরোধের মধ্যে দুই নেতা মিলিত হবেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এই মাসের শুরুতে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বৈঠক নিয়ে রুশ ও মার্কিন প্রশাসনের খুব বেশি প্রত্যাশা নেই। দুই পরাশক্তি দেশের নেতাদের বৈঠকে কোনও বিশেষ অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে না। কারণ দুই নেতার কেউই বিরোধ মেটানোর মতো মনোভাব দেখাচ্ছেন না।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে নেতারা আলোচনা করবেন। আমরা রুশ-মার্কিন সম্পর্কের স্থিতিশীলতা চাই।
এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা। এসব ইস্যুর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক স্থিতিশীলতা, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এবং আঞ্চলিক সংঘাত।
বাইডেন এর আগে বলেছিলেন, তিনি চান পুতিন যেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের চেষ্টা, সাইবার হামলা বন্ধ, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে হুমকি বন্ধ এবং বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে মুক্তি দেন।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করার ক্ষেত্রে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এভাবে বর্ণনা করতেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের মুখোমুখি বৈঠকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলের অবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, বাইডেনের কাছ থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জানার সুযোগ পাবেন তারা। কারণ, বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে তারা বিভিন্ন ইস্যুতে মিশ্র বার্তা পাচ্ছেন।