8.9 C
Düsseldorf

জিদ জিতে গেলে হেরে যায় জীবন

Must read

গোলজার হোসাইন খান
গোলজার হোসাইন খান
আমি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর একজন অবসরপ্রাপ্ত এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার।অতি সাধারণ মানুষ। কোন উচ্চাভিলাষ নেই। সাংসারিক বোধবুদ্ধি শূন্যের কোঠায়। হেরে যাওয়া মানুষের পাশে থাকি।এড়িয়ে চলি স্বার্থপরতা।বিনম্র শ্রদ্ধায় নত হই সৃষ্টিশীল-পরিশ্রমী মানুষের প্রতি আর ভালবাসি আমার পেশাকে।

ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের অহংকার, ধর্মীয় কুসংস্কার, ঔদ্ধত্য, নেতা নেত্রীদের জিদ একটি প্রগতিশীল জাতিকে কতটা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরন আজকের করোনা আক্রান্ত ভারত। অহংকারের থলি আজ যেন ভিক্ষার ঝুলি।

‘দরিদ্র’ কেনিয়াও সাহায্য দিল ভারতকে।
করোনাভাইরাসের ধাক্কায় নাজুক ভারতের পাশে দাঁড়াল কেনিয়া। সম্প্রতি ভারতে ১২ টন খাদ্য পাঠিয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দরিদ্র দেশটি। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেনিয়ার হাইকমিশন।

ভারতে নিযুক্ত কেনিয়ান হাইকমিশনার উইলি বেট বলেছেন, মহামারি পরিস্থিতিতে ভারতের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চেয়েছে কেনিয়া। ভারতের সরকার এবং জনগণের পাশে থাকতেই পাঠানো হয়েছে এ সাহায্য।

কেনিয়ার দেয়া খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে চা, কফি এবং বাদাম। সেগুলো হস্তান্তর করতে দিল্লি থেকে মুম্বাই গিয়েছিলেন বেট।

বহুকাল ধরেই ক্ষুধা, দরিদ্রতা ও অপুষ্টিতে ভুগছে কেনিয়া। সেই দেশটিই ভারতের মতো বড় দেশকে সাহায্য পাঠিয়ে মানবতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে, প্রতিবেশী দেশে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের মুখে কয়েক দফায় সাহায্য পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। গত ৬ মে প্রথম চালানে ১০ হাজার ‘ভায়াল’ রেমডেসিভির ইনজেকশন হস্তান্তর করা হয়। এরপর ১৮ মে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজার ৬৭২ কার্টন করোনা প্রতিরোধী ইনজেকশন, ক্যাপসুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্তত ১৮ প্রকারের ওষুধসামগ্রী পাঠায় বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশি পণ্যে চীনের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের ঘটনাকে ‘খয়রাতি’ আখ্যা দিয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকাসহ কলকাতা ভিত্তিক একাধিক সংবাদমাধ্যম। ভারত-চীন চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বেইজিংয়ের কাছে ৯৭ শতাংশ বা ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পায় বাংলাদেশ।

‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ঢাকাকে দেয়া চীনের বাণিজ্য সুবিধার কথা বলতে গিয়ে ‘খয়রাতি’ শব্দটি ব্যবহার করে আনন্দবাজার পত্রিকা। এতে ক্ষুব্ধ হয় বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এর সমালোচনা করা হয়।

পরে অবশ্য নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চায় আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ। তবে মানুষ এখনো সেই কথা ভুলে যায়নি। ভারত কেনিয়ার সাহায্য নেয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসে সেটাই প্রমাণ হয়।

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট