জার্মানির সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেখে আমরা প্রায়ই এর প্রেমে পরে যাই । মনে হয় একদম পারফেক্ট জায়গা জীবন যাপন এর জন্য । জীবন কে উপভোগ করতে চাইলে, সুরক্ষিত করতে চাইলে এমন একটি দেশেকেই নিজের আবাসস্থল হিসাবে চাই আমরা। আমরা দিবাস্বপ্নও দেখি অনেকেই এই দেশ নিয়ে। ভাগ্যক্রমে যদি আপনার জার্মান পিতা, মাতা অথবা জীবন সঙ্গী থেকে থাকে তাহলে এই নাগরিকত্ব পাওয়ার যাত্রা টা আপনার জন্য অনেকের থেকেই অনেক সহজ হয়ে যাবে । তবে অন্যদের জন্য জার্মান পাসপোর্ট এক সোনার হরিণ।
জীবনযাপনের জন্য আদর্শ স্থান
পৃথিবী ব্যাপী জার্মানি উচ্চতর এবং মানসম্পন্ন জীবনযাপনের জন্য প্রসিদ্ধ একটি দেশ। সামাজিক সেবা, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবায় এই দেশ পৃথিবীর অন্যতম সেরা দেশ। যদিও এখানে ট্যাক্স এর হার অনেক বেশি। কিন্তু এই ট্যাক্স পুনরায় বিনিয়োগ করা হয় দেশের বিভিন্ন কমিউনিটিতেই সবার জন্য কোয়ালিটি সাপোর্ট নিশ্চিত করার কাজে।
সন্তানের শিক্ষা নিশ্চিত করা অভিবাবকদের প্রথম চিন্তা। যাদের জার্মান পাসপোর্ট থাকে তারা অনায়াসেই টপ- কোয়ালিটি শিক্ষা পেতে পারে পৃথিবীর বিখ্যাত ইউনিভারসিটিতে কোন রাকম ঋণ এর বোঝা ছাড়াই। বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য রয়েছে নিশ্চয়তা শত ভাগ। তাদের সার্বক্ষণিক পরিচর্যার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় যেন কোনোভাবেই তারা কষ্ট না পান। জার্মান নাগরিকত্ব থাকলে আপনি শুধুমাত্র হেল্পফুল সার্ভিস গুলি পাবেন তা নয়, দেশটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণেও আপনার ভুমিকা থাকবে । একজন জার্মান নাগরিক দেশটির বিভিন্ন ভোট কার্যক্রমেও অংশ গ্রহন এবং নির্বাচন করতে পারেন।
অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্ট
জার্মান নাগরিকত্ব পাওয়া মানি শুধু এই নয় যে, দেশটির সকল সোশ্যাল সার্ভিস ভোগ করা। পাসপোর্ট ইনডেক্স ২০২১ অনুযায়ী জার্মান পাসপোর্ট পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্ট। জার্মান পাসপোর্ট হোল্ডারগণ শুধুমাত্র ইউরপিয়ান ইউনিয়নে থাকতে এবং ট্রাভেল করতেই পারবেন না, বেশীরভাগ দেশেই তারা বিনা ভিসায় ঘুড়ে বেড়াতে পারবেন যা অনেক পাসপোর্ট দিয়েই সহজে সম্ভব নয়। একজন জার্মান নাগরিক পাসপোর্ট ছাড়াই শেনজেন জোন এ ট্র্যাভেল করতে পারবেন, শুধুমাত্র আইডেনটিফিকেশন কার্ডটি সাথে থাকলেই হবে।
জরুরী তথ্য ও কাগজপত্র
জার্মান নাগরিকিত্ব পাওয়া খুব কম মানুষের জন্যই সহজ ছিল। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে কিছু নিয়ম কানুন সহজ হওয়ায়, মানুষের সামনে এখন নতুন অনেক পথ খুলে গেছে। আর আগেই বলেছি যে জার্মান অভিবাবক অথবা লাইফ পার্টনার থাকলে অনেক কিছুই সহজে হয়। যদিও সম্পর্কের সত্যতা যাচাই বাছাই তে অনেক টা সময় চলে যায়। জার্মান নাগরিকিত্ব এর জন্য আবেদনের আগে আপনাকে অবশ্যই পেপারস ওয়ার্ক করতে হবে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রেডি করতে হবে। পাসপোর্ট, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, ডিভোরস সার্টিফিকেট, জন্ম সনদ সব কিছু সাথে থাকতে হবে। তারপরেও অনলাইন দেখে নিয়ম অনুযায়ী সব ফরম পূরণ করতে হবে। যদিও এই পেপার্স রেডি করার বিষয়ে অথবা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনে কি কি করতে হবে সেই বিষয়ে ভালো গাইডেন্স পাওয়া খুবি মুশকিল। আর এই জন্যই অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নেয়া খুবই জারুরি ।