নিত্যনতুন হোটেল নিঃসন্দেহে সবার কাছেই রোমাঞ্চের। তবে আভিজাত্যের সঙ্গে তুলনা চলে না কোনো কিছুর। শতাব্দী প্রাচীন এমন অনেক হোটেল আরাম-আয়েশ ও আতিথেয়তার বৈশ্বিক মানদণ্ড তৈরি করে রেখেছে। এসব অসাধারণ হোটেল উঠে এসেছে অসংখ্য চলচ্চিত্র ও শিল্প-সাহিত্যে। ইতিহাসেরও অংশ এগুলো। জার্মানির সেরা দশ প্রাচীন অভিজাত হোটেলের বর্ণনা বাসভূমি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হল-
আডলন, বার্লিন
জার্মানির বিখ্যাত হোটেলের একটি আডলন৷ বার্লিনের ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের কাছে অবস্থিত হোটেলটি ১৯০৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে৷ এরপর ১৯৯৭ সালে হোটেলটি পুনরায় চালু হয়৷ ২০০২ সালে মাইকেল জ্যাকসন এই হোটেলে উঠেছিলেন৷
ফিয়ার ইয়ারেসসাইটেন, হামবুর্গ
হোটেল ঘেঁষে আশেপাশে অন্যান্য ভবন থাকায় হয়তো মনে হতে পারে, এটি তেমন অভিজাত কোনো হোটেল নয়৷ কিন্তু ভেতরে গেলে স্পা আর জিম করার যে স্থান সেটি বেশি জাঁকজমকপূর্ণ৷ হোটেল রুম থেকে শহরের যে দৃশ্য দেখা যায় সেটাও বেশ চমৎকার৷
এলিফান্ট, ভাইমার
ভাইমার শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এলিফান্ট বা এলিফেন্ট হোটেলের স্থাপনকাল ১৬৯৬ সাল৷ শুরুটা ছোট করে হলেও পরবর্তীতে এটি অভিজাত হোটেলে পরিণত হয়৷ ইয়োহান ভল্ফগাঙ ফন গ্যোটে আর ফ্রিডরিশ শিলার এই হোটেলের নিয়মিত অতিথি ছিলেন৷ তবে হোটেলের নাম কেন ‘এলিফেন্ট’ সেটা এখন আর কেউ বলতে পারেন না৷
টাশেনব্যার্গপালাইস, ড্রেসডেন
১৮ শতকে জার্মানির সাক্সোনি রাজ্যের ইলেক্টর আউগুস্টুস দ্বিতীয় দ্য স্ট্রং-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক নারীর বাসস্থান হিসেবে এই ভবনটি নির্মিত হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হওয়া হোটেলটি ১৯৯৫ সালে পুনরায় চালু হয়৷
গ্র্যান্ডহোটেল পেটার্সব্যার্গ, বন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন জার্মানির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণে গঠিত ‘অ্যালাইড হাই কমিশন’-এর কার্যালয় হিসেবে এই হোটেলটি ব্যবহৃত হয়েছিল৷ এখনও সরকারি কর্মকর্তাদের অতিথিশালা হিসেবে হোটেলটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ মাঝেমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় হোটেলটিতে৷
শ্লস বেনসব্যার্গ, ব্যার্গিশ গ্লাডবাখ
বারোক সময়কালের দেয়ালচিত্র আর প্রতিমূর্তির দেখা পাওয়া যায় এই হোটেলে৷ ১৭০৩ সালে নির্মিত ভবনটি শুরুতে ছিল সামরিক হাসপাতাল ও ব্যারাক৷ পরে এটিকে হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়৷
ব্রাইডেনবাখার হোফ, ড্যুসেলডর্ফ
২০০ বছরের পুরনো এই হোটেলে রাশিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় আলেক্সান্ডার থেকে শুরু করে বাভারিয়ার ডিউক মাক্সিমিলিয়ান ইয়োজেফ অতিথি হিসেবে থেকেছেন৷ এখনও হোটেলটিতে রাজাদের থাকার জন্য স্যুট রয়েছে৷
ব্রেনার্স পার্ক-হোটেল, বাডেন-বাডেন
অপরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে থাকতে চাইলে যেতে হবে এই হোটেলে৷ ১৮৩৪ সালে নির্মিত হোটেলটি বর্তমানে স্পা-র জন্য বিখ্যাত৷
কলম্বি, ফ্রাইবুর্গ
অভিজাত কলম্বি পরিবারের নামে এই হোটেলের রুম থেকে পুরনো ফ্রাইবুর্গ শহর দেখা যায়৷ আর লবি ও সিড়িতে আছে ওয়াইনের এক বিশাল সংগ্রহ৷ কতটা বিশাল জানেন? প্রায় ৩০ হাজার বোতল ওয়াইন আছে সেখানে৷
বায়ারিশার হোফ, মিউনিখ
১৮৪১ সালে বাভারিয়ার প্রথম লুডভিশ রাজকীয় অতিথিশালা হিসেবে এই ভবন নির্মাণ করেছিলেন৷ বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হোটেল যেখানে ৩৪০টি অভিজাত রুম রয়েছে৷ আর আছে ৬৫টি স্যুট৷