12.6 C
Düsseldorf

জার্মানির কয়েকটি অভিজাত হোটেল

Must read

গোলজার হোসাইন খান
গোলজার হোসাইন খান
আমি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর একজন অবসরপ্রাপ্ত এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার।অতি সাধারণ মানুষ। কোন উচ্চাভিলাষ নেই। সাংসারিক বোধবুদ্ধি শূন্যের কোঠায়। হেরে যাওয়া মানুষের পাশে থাকি।এড়িয়ে চলি স্বার্থপরতা।বিনম্র শ্রদ্ধায় নত হই সৃষ্টিশীল-পরিশ্রমী মানুষের প্রতি আর ভালবাসি আমার পেশাকে।

নিত্যনতুন হোটেল নিঃসন্দেহে সবার কাছেই রোমাঞ্চের। তবে আভিজাত্যের সঙ্গে তুলনা চলে না কোনো কিছুর। শতাব্দী প্রাচীন এমন অনেক হোটেল আরাম-আয়েশ ও আতিথেয়তার বৈশ্বিক মানদণ্ড তৈরি করে রেখেছে। এসব অসাধারণ হোটেল উঠে এসেছে অসংখ্য চলচ্চিত্র ও শিল্প-সাহিত্যে। ইতিহাসেরও অংশ এগুলো। জার্মানির সেরা দশ প্রাচীন অভিজাত হোটেলের বর্ণনা বাসভূমি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হল-

আডলন, বার্লিন
জার্মানির বিখ্যাত হোটেলের একটি আডলন৷ বার্লিনের ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের কাছে অবস্থিত হোটেলটি ১৯০৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে৷ এরপর ১৯৯৭ সালে হোটেলটি পুনরায় চালু হয়৷ ২০০২ সালে মাইকেল জ্যাকসন এই হোটেলে উঠেছিলেন৷

ফিয়ার ইয়ারেসসাইটেন, হামবুর্গ
হোটেল ঘেঁষে আশেপাশে অন্যান্য ভবন থাকায় হয়তো মনে হতে পারে, এটি তেমন অভিজাত কোনো হোটেল নয়৷ কিন্তু ভেতরে গেলে স্পা আর জিম করার যে স্থান সেটি বেশি জাঁকজমকপূর্ণ৷ হোটেল রুম থেকে শহরের যে দৃশ্য দেখা যায় সেটাও বেশ চমৎকার৷

এলিফান্ট, ভাইমার
ভাইমার শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এলিফান্ট বা এলিফেন্ট হোটেলের স্থাপনকাল ১৬৯৬ সাল৷ শুরুটা ছোট করে হলেও পরবর্তীতে এটি অভিজাত হোটেলে পরিণত হয়৷ ইয়োহান ভল্ফগাঙ ফন গ্যোটে আর ফ্রিডরিশ শিলার এই হোটেলের নিয়মিত অতিথি ছিলেন৷ তবে হোটেলের নাম কেন ‘এলিফেন্ট’ সেটা এখন আর কেউ বলতে পারেন না৷

টাশেনব্যার্গপালাইস, ড্রেসডেন
১৮ শতকে জার্মানির সাক্সোনি রাজ্যের ইলেক্টর আউগুস্টুস দ্বিতীয় দ্য স্ট্রং-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক নারীর বাসস্থান হিসেবে এই ভবনটি নির্মিত হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হওয়া হোটেলটি ১৯৯৫ সালে পুনরায় চালু হয়৷

গ্র্যান্ডহোটেল পেটার্সব্যার্গ, বন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন জার্মানির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণে গঠিত ‘অ্যালাইড হাই কমিশন’-এর কার্যালয় হিসেবে এই হোটেলটি ব্যবহৃত হয়েছিল৷ এখনও সরকারি কর্মকর্তাদের অতিথিশালা হিসেবে হোটেলটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ মাঝেমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় হোটেলটিতে৷

শ্লস বেনসব্যার্গ, ব্যার্গিশ গ্লাডবাখ
বারোক সময়কালের দেয়ালচিত্র আর প্রতিমূর্তির দেখা পাওয়া যায় এই হোটেলে৷ ১৭০৩ সালে নির্মিত ভবনটি শুরুতে ছিল সামরিক হাসপাতাল ও ব্যারাক৷ পরে এটিকে হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়৷

ব্রাইডেনবাখার হোফ, ড্যুসেলডর্ফ
২০০ বছরের পুরনো এই হোটেলে রাশিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় আলেক্সান্ডার থেকে শুরু করে বাভারিয়ার ডিউক মাক্সিমিলিয়ান ইয়োজেফ অতিথি হিসেবে থেকেছেন৷ এখনও হোটেলটিতে রাজাদের থাকার জন্য স্যুট রয়েছে৷

ব্রেনার্স পার্ক-হোটেল, বাডেন-বাডেন
অপরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে থাকতে চাইলে যেতে হবে এই হোটেলে৷ ১৮৩৪ সালে নির্মিত হোটেলটি বর্তমানে স্পা-র জন্য বিখ্যাত৷

কলম্বি, ফ্রাইবুর্গ
অভিজাত কলম্বি পরিবারের নামে এই হোটেলের রুম থেকে পুরনো ফ্রাইবুর্গ শহর দেখা যায়৷ আর লবি ও সিড়িতে আছে ওয়াইনের এক বিশাল সংগ্রহ৷ কতটা বিশাল জানেন? প্রায় ৩০ হাজার বোতল ওয়াইন আছে সেখানে৷

বায়ারিশার হোফ, মিউনিখ
১৮৪১ সালে বাভারিয়ার প্রথম লুডভিশ রাজকীয় অতিথিশালা হিসেবে এই ভবন নির্মাণ করেছিলেন৷ বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হোটেল যেখানে ৩৪০টি অভিজাত রুম রয়েছে৷ আর আছে ৬৫টি স্যুট৷

- Advertisement -spot_img

More articles

মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে অনুগ্রহ করে আপনার নাম লিখুন

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ আপডেট