এঙ্গেলা ম্যার্কেলের পর জার্মানির চ্যান্সেলর পদের রানিং ট্র্যাকে আছেন জনা পাঁচেক হেভিওয়েট নেতা।কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে তার রায় জনতার হাতে।
আরমিন লাশেট
৬০ বছর বয়সি লাশেট শুধু ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-এর বর্তমান চেয়ারম্যানই নন, জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ার মুখ্যমন্ত্রীও তিনি৷ ম্যার্কেল-ভক্ত এই নেতার শরণার্থীবান্ধব হিসেবে বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে৷
মার্কুস স্যোডার
বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের শীর্ষ নেতা ও সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্যোডারকে চ্যান্সেলর প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন অনেকেই৷ ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-এর সহযোগী দল সিএসইউ-এর ৫৪ বছর বয়সি এই নেতা ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বলেছিলেন, ‘‘বাভেরিয়া শক্তিশালী, বাভেরিয়া এগিয়ে যাবে৷ বাভেরিয়া নিরাপদ এবং নিরাপদই থাকবে৷’’ করোনা সংকটেও স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ করেছেন কঠোরভাবে৷ ফলে তার এবং দলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে৷
আনালেনা বায়েরবোক
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকের পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল ডিগ্রিধারী বায়েরবোক তিন বছর ধরে গ্রিন পার্টির কো-চেয়ারম্যান৷ সমর্থকরা তার প্রতি খুব আস্থাশীল হলেও সমালোচকরা মনে করেন, চ্যান্সেলর হলে প্রশাসনিক কাজ এবং মন্ত্রিত্বে অনভিজ্ঞতা তাকে সমস্যায় ফেলতে পারে৷
রবার্ট হাবেক
বহু কাজের কাজী হাবেকও গ্রিন পার্টির নেতা৷ ৫১ বছর বয়সে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হয়ে গেলেও রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন শিশু সাহিত্যিক৷ দর্শন শাস্ত্রে পিএইচডিও করেছেন তিনি৷ ২০ বছর আগে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে অল্প সময়েরমধ্যেই বক্তা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন৷ জলবায়ু আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার যোগ্য মনে করা হয় তাকে৷
ওলাফ শলৎস
সপিডি দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী ওলাফ শলৎস৷জার্মানির অর্থমন্ত্রী এবং গ্র্যান্ড কোয়ালিশনে ম্যার্কেলের ডেপুটি শলৎস এক সময় হামবুর্গের মেয়র ছিলেন৷ তবে ৬২ বছর বয়সি এই নেতা নিজের দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝেও সংশয় রয়েছে৷