পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে চলতি বছরের শুরুর দিকে ফরাসি বাহিনীর এক বিমান হামলায় অন্তত ১৯ জন বেসামরিক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফ্রান্স।
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি মালির মধ্যাঞ্চলীয় একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বিমান হামলা চালায় ফরাসি বাহিনী।
বাউন্টি নামে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছিল এবং তাতে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটে।
তবে ফরাসি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা সশস্ত্র জঙ্গিদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় গ্রামটিতে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথাও অস্বীকার করেছে তারা।
ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে মালিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন । ১১৫ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রস্তুত প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের তদন্তে পাওয়া প্রমাণাদির ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সেদিন আসলেই বাউন্টি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল এবং হামলাস্থলে প্রায় ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে পাঁচজন সশস্ত্র ব্যক্তি অংশ নিয়েছিলেন, যারা স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী কাতিবা সেরমার সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরাসি বাহিনীর বিমান হামলায় সেদিন অন্তত ২২ জন নিহত হন, এদের মধ্যে ১৯ জনই বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন।
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বেসামরিক লোকজন ছিলেন, যারা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সুরক্ষিত।
২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ দেখা দেয়। পরে তা ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চলসহ প্রতিবেশী দেশ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারেও ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে মালিতে প্রবেশ করে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স। সেখানকার সাহেল অঞ্চলে বর্তমানে পাঁচ হাজারের বেশি সৈন্য রয়েছে ফরাসিদের।
সূত্র: ফ্রান্স২৪