করোনা মহামারীর দাপটে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। একাধিক বিধিনিষেধে পালটে গিয়েছে পরিচিত জীবন। তবে এহেন সংকট কালেও কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে ইউরোপ। ছ’মাস লকডাউনে থাকার পর এবার খানিকটা মুক্তির স্বাদ পেয়েছে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মহামারী কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে অস্ট্রিয়া। বুধবার থেকে রেস্তরাঁ, থিয়েটার, সিনেমা হল, খেলার মাঠ খোলার অনুমতি দিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। তবে কিছুটা ছাড় দিলেও প্রত্যেককেই কঠোরভাবে করোনা-বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, রাত ১০টার মধ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বারও বন্ধ করে দিতে হবে। বিদেশি পর্যটকদের জন্যও নিয়মনীতি শিথিল করেছে অস্ট্রিয়া সরকার।
একইভাবে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় দীর্ঘ ছ’মাস পরে ফ্রান্সেও ক্যাফে, রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি মিলেছে। এতদিন পর্যন্ত সন্ধ্যে ৭টা থেকেই নাইট কারফিউ বলবৎ হত। এবার তা পিছিয়ে রাত ৯টা করা হয়েছে। মিউজিয়াম, থিয়েটার, সিনেমা হল খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার একটি ক্যাফেতে বসে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্সের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে বৈঠক করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লকডাউন শেষ হতেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে রাস্তায় ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বনে আবদ্ধ হয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন স্পেনের তরুণ-তরুণীরা। উৎসবের আমেজে সেজে উঠল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার রাস্তা। তবে এই উল্লাসের ছবি সে দেশের প্রশাসন এবং চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও খানিকটা গভীর হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এহেন লাগামহীন আচরণে গত ছ’মাসের কৃচ্ছসাধন কার্যত জলে গিয়েছে। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে শুধু আনন্দ নয় ছড়িয়ে দেওয়া হল সংক্রমণ। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফের না আরও একটা লকডাউন ডাকতে হয়। স্পেনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৯ হাজার মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ফের একবার সেই ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন অনেকে।