হাজার হাজার গ্যাস স্টেশনে গ্যাস শেষ হয়ে গেছে৷ সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়ার পর ভয়ে অনেকেই প্রয়োজন না থাকলেও গ্যাস কিনে রাখছেন৷ ফলে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম স্বল্পতা৷
পাঁচ দিন আগে সাইবার আক্রমণে বন্ধ হয়ে যায় কলোনিয়াল পাইপলাইন৷ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই পূর্ব উপকূলে গ্যাস সরবরাহ করা মূল পাইপলাইনটি আবার চালু হবে৷ দেশে গ্যাসের কোনো অভাব নেই বলেও জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্যাস কেনা থেকে চালকদের বিরত রাখা যাচ্ছে না৷ ফলে বাধ্য হয়েই পূর্ব উপকূলের কয়েকটি রাজ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে৷
মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোল্ম হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা জনগণকে গ্যাস জমিয়ে না রাখার অনুরোধ করছি৷ সবকিছু কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে৷”
এরই মধ্যে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা এবং ভার্জিনিয়া রাজ্যের গভর্নররা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন৷ প্রয়োজনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের কথাও বলছেন তারা৷
গ্যাসবাডি নামের একটি ট্র্যাকিং সংস্থা জানিয়েছে, জর্জিয়ার রাজধানী আটলান্টায় ৩০ শতাংশ গ্যাস স্টেশনে গ্যাস ফুরিয়ে গেছে৷ নর্থ ক্যারোলিনার রালেইতেও একই অবস্থা৷ সিএনএন জানিয়েছে স্থানীয় সময় রাত ৮টার মধ্যে পুরো ভার্জিনিয়া রাজ্যের আট শতাংশ স্টেশনে গ্যাস শেষ হয়ে গেছে, ফ্লোরিডায় এ পরিমাণ তিন শতাংশ৷
শুক্রবার হ্যাকারদের ব়্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয় কলোনিয়াল পাইপলাইন৷ এই আক্রমণের মাধ্যমে হ্যাকাররা কম্পিউটার সিস্টেমকে বিভিন্ন এনক্রিপট করা তথ্য ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে লক কর দেয়৷ সিস্টেম পুনরায় চালুর বিনিমেয় তারা মুক্তিপণও দাবি করে৷
এফবিআই সোমবার জানিয়েছে, তারা এই আক্রমণের পেছনে পেশাদার সাইবার ক্রিমিনাল গ্রুপ ডার্কসাইডকে সন্দেহ করছে৷
রয়টার্স