করোনায় দেড় বছর ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। লোকজন অনেকটাই ঘরবন্দী। এরই মধ্যে কেউবা চাকরি হারিয়ে হয়েছেন বেকার, কেউবা বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পেশা। স্বাভাবিক জীবনযাপন টিকিয়ে রাখতে মানুষের চেষ্টায় কমতি নেই। তাই বলে এই করোনাকালে গরুর জন্য কনসার্ট!
অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনা সত্যি। করোনায় আরও অনেকের মতোই জীবনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে সুদূর ডেনমার্কের এক সংগীতশিল্পীর। তবে দমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনি পেশা বদল করেননি ঠিক; তবে বদলেছেন তাঁর সংগীতের শ্রোতা। করোনাকালে সংগীতপ্রেমী মানুষকে শ্রোতা বানাতে না পেরে শেষমেশ গরুকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
সংগীতের ভিন্নধর্মী এই শ্রোতা বানানোর কারিগর হলেন জ্যাকব শো। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ তাঁকে এতটাই সুখকর অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে ডেনমার্কে কনসার্টের জন্য হল খুলে দেওয়া হলেও বিস্তীর্ণ মাঠ বা চারণভূমিতে গরুদের জন্যই কনসার্টের আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে জ্যাকব শো বলেন, ‘আমি আমার সলো পেশাজীবনে সব সময় যা করে এসেছি, ‘গরুর জন্য কনসার্ট’ তারই ধারাবাহিকতা।
যুক্তরাজ্যের সংগীতশিল্পী জ্যাকব বার্সেলোনার মার্শাল একাডেমিতে অধ্যাপনায়ও নিয়োজিত। গরুদের গান শোনাতে তিনি ডেনমার্কের কোপেনহেগেন থেকে ঘণ্টাখানেকের দূরত্বে স্টেনসের এক গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি সলো স্কুল। ৩০ বছর বয়সী যুবক জ্যাকব বলেন, ‘করোনাকালে প্রচলিত কনসার্টের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পশুদের জন্য গান গাওয়াটাকে সেরা বিকল্প হিসেবে বেছে নিলাম।’ তিনি আরও বলেন, শরতে সংগীতপ্রেমী একজন খামারিকে তিনি তাঁর গরুদের আনন্দ দিতে গান শোনানোর প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হন তিনি।
এদিকে মোগেনস হগার্ড নামের ওই খামারি বলেন, ‘জ্যাকবের প্রস্তাব আমার কাছে পাগলাটে মনে হয়নি, বরং সেটি রোমাঞ্চকরই মনে হয়েছে।’
সূত্র- এএফপি