আবারও গভীর মন্দায় ডুবেছে ইউরোজোন। অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ওপর ক্রমাগত করোনার আঘাত পড়ায় ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না অর্থনীতি। চলতি বছরে ইউরোপের দেশগুলোয় সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে। এ কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) ইউরোজোনের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
এ নিয়ে পরপর দুই প্রান্তিকে সংকুচিত হলো ইউরোজোনের অর্থনীতি। কোনো অর্থনীতিতে পরপর দুই প্রান্তিক সংকুচিত হলে তা মন্দায় পড়েছে বলে বলা হয়। বলা হচ্ছে, মহামারির দ্বিতীয় পর্ব চলছে এখন।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে ইতালি।পর পর দুই প্রান্তিকে কেবল ইতালির অর্থনীতিই সংকুচিত হয়েছে। ইতালির অর্থনীতি ২০১৯ সালের শেষে যেমন ছিল, এখনো সেখান থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হয়ে আছে। অন্য দেশগুলো গত দুই প্রান্তিকে এক বা অন্যটিতে কিছুটা প্রবৃদ্ধির খবর দিয়েছে।
যেমন ফ্রান্সের অর্থনীতি গত বছরের শেষ প্রান্তিকে সংকুচিত হলেও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির খবর দিয়েছে। অবশ্য জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ এটিকে সীমাবদ্ধ বৃদ্ধিই বলছে। অন্যদিকে, জার্মানির অর্থনীতি গত বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দেখলেও এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বড় সংকোচের মুখে পড়েছে। ১ দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে অর্থনীতি।
জার্মানির অর্থনীতিবিদ ক্লজ ভিসটেন বলছেন, এ বছর থেকে আবার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ হয়েছে। ফলে, আবার ভোক্তা ব্যয় হ্রাস ও নির্মাণকাজ কমে গেছে। গত বছর মহামারির মধ্যে অর্থনীতিকে সহায়তা করার উদ্দেশে সাময়িকভাবে ভ্যাট না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জার্মানি। ওই সিদ্ধান্ত গত বছরের শেষ পর্যন্ত বহাল ছিল।
ইউরোজোন, আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরো অঞ্চল নামে পরিচিত, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯ সদস্য দেশের একটি আর্থিক ইউনিয়ন যারা ইউরোকে তাদের প্রাথমিক মুদ্রা এবং একমাত্র আইনী দরপত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।
খবর: বিবিসি অনলাইন