লকডাউন ভেঙ্গে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ যারা জীবিকার সন্ধানে বের হয়েছে প্রায় সবারই একই কথা, কারো ঘরে ভাত নেই কারোবা ঔষধ কিনার টাকা নাই, চিকিৎসা করার টাকা নেই। কিইবা করার আছে তাদের, ঘরে বসে থকলেতো না খেতে পেয়ে, চিকিৎসার অভাবে মারা যবে। তারচেয়ে করনায় মরা অনেক ভালো। তারা একমুঠো ভাতের আশায়, বাঁচবার আশায় বের হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাদের উপর লাঠি চার্জ করছে। আবার পুলিশের এই লাঠি চার্জ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে যাচ্ছে। একটা চোরও কিন্তু খিদার জালায়ই চুরি করে। চোর ধরা পড়লেতো চোর পেটানোর লোকের অভাব হয় না।
আমি বলছি না যে খেটে খাওয়া মানুষগুলো চোরের সমতুল্য। পুলিশের কাছে কিন্তু তারা চোরের চেয়ে কমও কিছু নয়। পুলিশের কাছে অনুরোধ জানাই তারা যেন ঐ খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে চোর পেটানোর মতন না পেটায়। অন্তত এইটুকু মাথায় রেখে মারেন যেন হাড্ডি ভেঙ্গে না যায়, ডাক্তারের কাছে যেন যেতে না হয়, ঔষধ খেতে না হয়।
আমরা আসলে টক-শো জাতিতে পরিণত হয়ে গেছি। টিভিতে টক-শো, ঘরে টক-শো, মসজিদে-মন্দিরে টক-শো, হাটে, মাঠে, ঘাটে সব যায়গাতেই টক-শো। ফেসবুকে কমেন্ট চালাচালি তা নিয়ে মারামারি-হানাহানি। এতো টক-শো এতো কথা তারপরও আসল কথা বলার মতো বাক-স্বাধীনতা আামাদের নেই।
” চুপ একদম চুপ, অনেক কথা হয়েছে, আর একটি কথাও না, একদম চুপ। ”
কথা বলে টক-শো কোরে এখন পর্যন্ত আমারা কি এমন অসাধ্য সাধন করে ফেলেছি, আসুন আমরা কথা বন্ধ করে বাক-প্রতিবন্ধি হয়ে কাজ শুরু করি। কথা বলে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। কাজ করে যদি কিছু হয়।
অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয়ে ব্যস্ত জীবনের অলস সময়টুু পরিবার-পরিজনের সাথে হেঁসে-খেলে কাটাই। পরস্পরকে সাহায্য করি। সাহায্য করার আনুষ্ঠানিকতায় গুরুত্ব না দিয়ে সাহায্যে মনোযোগ দেই। সবাই যদি নিজেদের আশেপাশের মানুষের খেয়াল রাখি তাহলে সবাই মিলে ভালো থাকতে পরব। তাহলে আর ঐ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জীবিকার তাগিদে লকডাউন ভঙ্গ করতে হবে না, পুলিশেরও তাদেরকে মারতে হবে না, আমাদেরও তা নিয়ে টক-শো করতে হবে না।