প্যারিস: আরও বেশি মানুষ যাতে গ্যালারিতে বসে ম্যাচ উপভোগ করতে পারেন, সেই কথা বিবেচনা করে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল ফরাসি ওপেন ২০২১। প্রাথমিকভাবে ২৩ মে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এক সপ্তাহ পিছিয়ে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ মে। চলবে ১৩ জুন পর্যন্ত।
করোনা উদ্বেগ দেশে ফের মাথাচাড়া দেওয়ায় গত ৩ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী তৃতীয়বার লকডাউনের পথে হেঁটেছে ফ্রান্স। লকডাউন ঘোষণার পূর্বে দেশের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আভাস দিয়েছিলেন মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণের দিকটি পুনরায় পর্যালোচনা করে সাংস্কৃতিক এবং স্পোর্টিং ইভেন্টগুলোতে ছাড় দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতির সেই ঘোষণা মাথায় রেখেই ফ্রান্সের টেনিস ফেডারেশন বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাদের ধারণা সংক্রমণের মাত্রা কমলে আরও বেশি সংখ্যক দর্শল রোলাঁ গ্যারো দেখতে আসতে পারবেন।
ফ্রান্সের টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি জাইলস মরেটন টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হওয়ার সময় দিলাম। এরপর আশা রাখছি যে আমরা রোলাঁ গ্যারোয় দর্শকদের আপ্যায়ণ করতে পারব। দর্শক উপস্থিতি টুর্নামেন্টের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটা বসন্তের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্পোর্টিং ইভেন্ট।’ ২৪-২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের কোয়ালিফায়িং রাউন্ডের ম্যাচ।
ফ্রান্সের টেনিস ফেডারেশনের গৃহীত সিদ্ধান্তে কোনওরকম আপত্তি জানায়নি এটিপি অথবা ডব্লুটিএ। ফরাসি ওপেন পরবর্তী বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম উইম্বলডল এফএফটি’র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আগামী ২৮ জুন শুরু হবে উইম্বলডন। উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের কথায়, ফরাসি ওপেন পিছিয়ে যাওয়ায় তাদের কোনও আপত্তি নেই। গ্র্যান্ড স্ল্যাম বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উগো ভালেন্সি যেমন কঠিন সময়ে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন অনুরাগীদের। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার মুহূর্তে ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী রোক্সানা মারাসিনেআনু রোলাঁ গারো পিছিয়ে যাওয়ার একটা আভাস দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ফ্রান্সের টেনিস ফেডারেশনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমরা যদি পর্যালোচনা করে দেখি টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব তাহলে আমরা সেই পথেই হাঁটব। যদিও প্রথম সারির খেলাধুলোর ইভেন্টগুলোকে আমরা নিরাপদে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। পেশাদার খেলাগুলোর মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি যতোটা সম্ভব এড়ানো যায় আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”