চোখের পানি নিয়ে কত গান-কবিতা;তার ইয়ত্তা নাই। তবে সেন্ট পল-রামজে মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক, উইলিয়াম ফ্রে প্রায় ১৫ বছর গবেষণা করেছেন এই নোনা জল নিয়ে।
গবেষণার ফলাফলে তিনি বলেছেন, চোখের পানি সাধারণ কিছু নয়। এটি পানি, শ্লেষ্মা, তেল, ইলেক্ট্রোলাইট-এর এক জটিল মিশ্রণ।
এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, যা চোখকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এটি কর্নিয়াকে মসৃণ করে, যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
চোখের পানি কর্নিয়াকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ দেয়। যা চোখের জন্য ওয়াইপার হিসেবে কাজ করে, চোখকে ধুয়ে ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার করে।
চোখের পানি যদি শুধুই পানি হতো, তাহলে তা ঘর্ষণের কারণে চোখ শুকিয়ে জ্বালা পোড়া করত। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি হলে পানি শুকিয়ে জমে বরফ হয়ে যেত!
আবার চোখের পানি যদি শুধুই এক ধরনের তেল হতো, তাহলে তা চোখের ধুলাবালি পরিষ্কার না করে উলটো আরও ঘোলা করে দিত।
চোখের পানির মধ্যে প্রকৃতির লাখ উপাদান থেকে এমন বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যার এক বিশেষ মিশ্রণ একই সাথে পরিষ্কার, মসৃণ এবং জীবাণুমুক্ত করতে পারে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে।
মার্কিন এই বায়োকেমিস্ট আরও বলেন, সাধারণভাবে বের হওয়া চোখের পানি যেমন পিয়াজ কাঁটতে গিয়ে যে জল বের হয় তার চেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে মানুষ কান্না করলে যে পানি বের হয় তাতে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে বহুগুণ বেশি।