তিন দিনের ইসরায়েল সফরে গেলেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার। সেখানে তিনি ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলে পা দিয়ে জার্মান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জার্মানি তো বটেই, বিশ্বের যেখানেই ইহুদিবিদ্বেষ দেখা দেবে, সেখানেই কড়া হাতে তার মোকাবিলা করতে হবে। স্টাইনমায়ার বলেছেন, ”বিশ্বে ইহুদিবিদ্বেষ আছে। তাই আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। জার্মানি এই বিষয়ে ইসরায়েলের পাশেই থাকবে।”
জার্মান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, জার্মানিতে এবং বিশ্বের অন্য জায়গায় সিনাগগগুলিকে পুলিশি সুরক্ষা দেয়া উচিত। তিনি দুই বছর আগে হালিতে দক্ষিণপন্থিদের সিনাগগ আক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ”সেসময় যে ভয়ংকর কাণ্ড হয়নি, সেটা মিরাক্যাল।”
এক বছর আগেই তার ইসরায়েল সফর করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে স্টাইনমায়ারের সফর সে সময় হয়নি। এই সফরে তিনি ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনেটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইসরায়েলের একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে স্টাইনমায়ার বলেছেন, ”ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে।” মাসখানেক আগেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রবল লড়াই হয়েছে। গাজায়২৪৮ জন ফিলিস্তিনি ও ১২ জন ইয়রায়েলের মানুষ মারা গেছেন। তারপর জার্মান প্রেসিডেন্টের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার তিনি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনেট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
সাক্ষাৎকারে স্টাইনমায়ার জানিয়েছেন, তিনি দুই-রাষ্ট্র নীতির পক্ষে। এটাই সমাধানের প্রধান সূত্র হওয়া উচিত। নতুন প্রশাসনকে ফিলিস্তিনিদের আস্থা অর্জন করতে হবে। কিন্তু ইসরায়েলের সাবেক শাসকরা এই নীতির বিরোধিতা করে এসেছেন।
স্টাইনমায়ার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের মতো জার্মানিও চায় না, ইরান পরমাণু বোমা বানাক। তবে এই বিষয়ে ইসরায়েল ও জার্মানি সবসময় একই পথে হাঁটে না।
সাক্ষাৎকারে জার্মানির প্রেসিডেন্ট এটাও বলেছেন যে, সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সময় জার্মানিতে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গিয়েছিল। ইহুদিবিদ্বেষ, ইসরায়েলের পতাকা পোড়ানোর মতো ঘটনাকে তিনি অপরাধ বলে মনে করেন।
জার্মানিতে অবশ্য প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা খুবই কম। আসল ক্ষমতা চ্যান্সেলারের হাতে।
-এএফপি