১২ বছরের শাসনকালের শেষ ঘন্টা বেজে গেল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে এ বার বিদায় নিতে হচ্ছে নেতানিয়াহুকে। বিরোধী জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। জোটের নেতারা সে কথা ইমেল মারফত জানিয়েও দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্টকে। নতুন জোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীরা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্ষমতা ভোগ করবেন।
কিছু দিন আগেই ইসরায়েলে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে নেতানিয়াহু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। সরকার তৈরির মতো আসন তার কাছে নেই। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়। বিরোধী জোটে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা লাপিদ। মধ্যপন্থি এই নেতা এতদিন বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বেই একাধিক বিরোধী দল নিয়ে নতুন জোট তৈরি হয়েছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছেন চরম দক্ষিণপন্থি নেতা নাফতালি বেনেট। নির্বাচনের আগে থেকেই নিজের শক্তি জানান দিচ্ছিলেন বেনেট। তাকে বাদ দিয়ে নতুন জোট তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বুধবার রাতের মধ্যেই লাপিদকে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দিয়ে জানাতে হতো যে, তিনি নতুন সরকার গঠন করতে চান। বুধবার দিনভর বেনেটের সঙ্গে আলোচনা করে জোট নিশ্চিত করে রাতে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে লাপিদ জানিয়ে দেন, সরকার গঠনের জন্য তিনি তৈরি।
লাপিদ এবং বেনেটই নতুন সরকারের প্রধান দুই মুখ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তারা ভোগ করবেন। অর্থাৎ, কিছুদিন লাপিদ এবং কিছুদিন বেনেট এই পদটি পাবেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল না। নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী থাকলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তার ছিল না। ফলে বার বার সরকার ভেঙেছে। গত এক বছরে একাধিকবার ভোট হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১২ বছর শাসন চালানোর পর পদ থেকে সরতেই হচ্ছে নেতানিয়াহুকে।
– রয়টার্স