মানচিনির হাত ধরে ইটালির ফুটবলে যে নবজাগরণ হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই প্রমাণটাই পাওয়া গেল চলতি ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচে। তুরস্ককে ৩-০ গোলে পরাস্ত করল ইটালি। প্রথমে আত্মঘাতী গোল করেন ডেমিরাল।তারপর দ্বিতীয় গোলটি করেন চিরো ইমমোবিলে। আর তুরস্কের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ইনসাইন।
ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধ একেবারে নির্বিষ হয়েই থাকে। কোনও দলই সেই অর্থে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচের ২২ মিনিটে ইটালির কাছে একটা সুযোগ এসেছিল বটে, কিন্তু সেটাকে মানচিনি ব্রিগেড কাজে লাগাতে পারেনি। পেনাল্টি অঞ্চলে কার্যত ফাঁকাই দাঁড়িয়ে ছিলেন ইটালির ডিফেন্ডার জর্জিও কেলিনি। কিন্তু, তিনি ইনসিগনের কর্নার কিকের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর হেডারে খুব একটা জোর ছিল না। তুরস্কের গোলরক্ষক উরজান চেকার সেটা তালু দিয়ে আটকে দেন। নির্ধারিত ৪৫ মিনিটের পর আরও অতিরিক্ত ১ মিনিট দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই সময় গোলপার্থক্য কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে যে ইটালি অনেকটাই ভালো জায়গায় ছিল, তা বলা যেতেই পারে। ম্যাচের প্রথমার্ধে ইটালির দখলে ৬৭ শতাংশ বল ছিল।
অন্যদিকে, তুরস্ক কোনও আশার আলো দেখাতে না পারলেও, যথেষ্ট ভালো ডিফেন্ড করেছে।
১৯৮০ সালের পর এই প্রথমবার ইউরো কাপে কোনও দল ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলে একটাও শট রাখতে পারেনি।
আর সেই দলটা অবশ্যই তুরস্ক। এই পরিস্থিতিতেই শুরু হল দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধামাকা দেখাল ইটালি। ৫৩ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইটালি। চলতি ইউরো টুর্নামেন্টের প্রথম গোলটাই হয় আত্মঘাতী গোল! ডমেনিকো বেরার্ডি গোলের দিকে একটা জোরাল শট নেন। ডেমিরালের সেভাবে কিছুই করার ছিল না। বলটা তাঁর গায়ে প্রতিহত হয়ে সোজা গোলে ঢুকে যায়।
৬৬ মিনিটে আসে ইটালির দ্বিতীয় গোল। গোলদাতা চিরো ইমমোবিলে। এই নিয়ে প্রথমবার ইটালির হয়ে প্রথমবার পরপর তিনটে ম্যাচে গোল করলেন। সত্যি কথা বলতে কী, লাজিও স্ট্রাইকার বর্তমানে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। ইটালির বিজয়রথ অপ্রতিরোধ্য হয়ে এগিয়ে যায়।
তবে এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে আরও একটা দুরন্ত গোল করলেন ইনসাইন। গোটা ম্যাচে ইটালি যেভাবে খেলল, তাতে করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে যে নতুনভাবে ফিরে আসতে চাইছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর আরও অতিরিক্ত ৩ মিনিট সময় দেওয়া হয়। কিন্তু, তাতেও লাভ হয়নি। অবশেষে জয়লাভ করল ইটালি।