চলতি ইউরো কাপের রাউন্ড অফ সিক্সটিনে চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে বেলজিয়ামের কাছে হেরে গিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল। এই দুই অঘটন যে ইউরো কাপের ইতিহাসকেই ফিরিয়ে আনছে, তা প্রমাণ করে পরিসংখ্যান। তারই নিরিখে টুর্নামেন্টের সেরা অঘটনগুলির এক ঝলক।
১৯৮৮ সালের ইউরো কাপের গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রত্যাশা ছাপিয়ে দাপুটে দলকে নাকানিচুবানি খাইয়েছিল কমজোরি আয়ারল্যান্ড। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথাতেই তারা গোল পেয়ে গিয়েছিল। গোটা ম্যাচে দাপিয়ে খেলেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছিল ইংল্যান্ড।
১৯৯২ সালের ইউরো কাপের গ্রুপ পর্বে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল আন্ডারডগ সুইডেন। ম্যাচে এগিয়েও গিয়েছিলেন ব্রিটিশরা। ঘরের মাঠে প্রথমে গোল শোধ করেছিল সুইডেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু আগে দ্বিতীয় গোল করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ইব্রাহিমোভিচের দেশ।
১৯৯৬ সালের গ্রুপ পর্বে চেক প্রজাতন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি। ম্যাচে শক্তিশালী আজুরিদের জয় নিশ্চিত বলে ভেবেছিলেন ফুটবল প্রেমীরা। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে ইতালির বিরুদ্ধে ২ গোল করেছিল চেক। মাত্র এক গোল শোধ করতে পেরেছিল চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
২০০৪ সালে পর্তুগালে হওয়া ইউরো কাপে প্রথম বার খেলতে নেমেছিল লাটভিয়া। চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরে গেলেও, শক্তিশালী জার্মানিকে চমকে দিয়েছিল নবাগত দল। গোলশূন্য অবস্থায় ওই ম্যাচ শেষ হয়েছিল। একই ইউরো কাপের ফাইনালে পরাক্রমশালী পর্তুগালকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল আন্ডারডগ গ্রিস।
২০১৬ সালের ইউরো কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ওয়েন রুনির দল। প্রথমার্ধে গোল শোধও করেছিল আইসল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোল করে ইংল্যান্ডক প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দিয়েছিল ছোট দল।