সাম্প্রতিক ইহুদি-বিদ্বেষের ঘটনার নিন্দা করলেন জার্মানির আইনসভার সদস্যরা। অনেকেই বললেন, ইসরায়েল আত্মরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত ও উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হলো জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্দেসটাগে। সেখানে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা হাইকো মাস বলেন, ”যে সব ইহুদি-বিদ্বেষীরা ঘৃণা ছড়াচ্ছে, অপরাধমূলক কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া উচিত।” মাস বলেন, ”আমাদের পথে ধর্মবিদ্বেষের জন্য এক সেন্টিমিটার জায়গাও নেই।”
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ”ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।” তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের রকেট-সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও তোলেন। সংঘর্ষ থামাতে তার প্রস্তাব, ”হামাসকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধ করতে হবে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।”
বুন্দেসটাগ পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান ও সিডিইউ নেতা নরবার্ট বলেছেন, ”জার্মানিকে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। না হলে ওই অঞ্চলে হিংসা আরো বাড়বে।” তার মতে, ”এই সংঘাতকে এখন সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ঘরের ও পররাষ্ট্র নীতির বাস্তবতাকে বুঝতে হবে।”
ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য আলেকজান্ডার ল্যাম্বসডরফ জানান, তিনি বনের সিনাগগে গিয়েছিলেন। ইহুদিদের পবিত্র স্থানে ঢিল মারা হয়েছে। ইসরেয়ালের পতাকা পোড়ানো হয়েছে। তার মতে যারা এই ঢিল মারছে, তারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
অতি দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের সদস্যরাও হামাসের আক্রমণের নিন্দা করেছেন। তারা অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিরও সমালোচনা করেছেন।