যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ফ্রান্সে পৌঁছেছেন। ব্লিংকেনের বহু-দেশীয় সফরের তালিকায় ফ্রান্স সর্বশেষ যেখানে তিনি শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে সাক্ষাত করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঐ অঞ্চলের মিত্রদের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর আন্তঃ মহাসাগরীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র দফতর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে “যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো মিত্রের সাথে এই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আন্তঃ মহাসাগরীয় সম্পর্ক বজায়ের গুরুত্বসহ চলমান স্বাস্থ্য সঙ্কটের বিষয়ে যৌথ সমাধান, জলবায়ু সংকট মোকাবেলা এবং দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের শক্তি তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, ফ্রান্স “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক অবিচলিত অংশীদার।” “ইউক্রেনে রাশিয়ার কর সহ আগ্রাসী ও অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করার প্রয়োজনে দু’দেশ একমত পোষণ করে।”
যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স “বিধি-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষাকারী মূল্যবোধ ও নিয়মাবলি ক্ষয় করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য “মানবাধিকার, অর্থনৈতিক জবরদস্তি এবং দুর্নীতি ইত্যাদির বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই দেশ “প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জন ও শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ শূন্য নির্গমন অর্জন করতে শক্তিশালী অর্থনীতিতে রুপান্তরের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করবে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার বার্লিনে থাকাকালীন, ব্লিংকেন বলেন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি হলোকাস্টের অস্বীকার ও বিরোধীতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে একত্রিত হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, এটি এমন একটি প্রয়াস যা নিশ্চিত করবে যে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম হলোকাস্ট সম্পর্কে শিখবে এবং শিক্ষা নেবে।