হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের পূর্বাপর ঘটনাগুলো কতটা বেদনার আর লজ্জার ছিলো তা আগে থেকে আঁচ করতে পারেনি অনেকেই। এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের ক্ষমতাগ্রহণ ঠেকাতে ট্রাম্পের মরিয়া চেষ্টা কেবল মার্কিন জনগণকেই লজ্জায় ফেলে দেয়নি, বরং বড় একটি প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দেয় দেশটির গণতান্ত্রিক চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতেও। চিন্তার খোরাক যোগায় ক্ষমতার পালাবদলের মসৃণ প্রক্রিয়াতে। অন্যদিকে বিরোধী মত দমন ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনার কেন্দ্রে পুতিনের রাশিয়া। ঠিক এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পালাবদল হতে চলেছে মধ্য ইউরোপের দেশ জার্মানিতে। ১৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম।
প্রায় দেড় দশক ধরে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির নেতা অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা আর উন্ননয়ন সূচকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বেশ ক’বারই কঠিন বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। কিন্তু বিচক্ষণতার সাথেই তিনি পার করেছেন সব বাঁধা। এই দেড় দশকে জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে মের্কেলকে কাজ করতে হয়েছে তিনজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, দু’জন চীনা প্রেসিডেন্ট, চারজন ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। এই সময়ে ব্রিটেন পেয়েছে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী। আর ইতালি পেয়েছে সাতজন। কিন্তু জার্মানির ক্ষেত্রে উল্টোটা কেন? কারণ জার্মান ভোটাররা সব সময়ই এমন একজন নেতাকে বেছে নিতে চান, যিনি হবেন দেশ পরিচালনায় সতর্ক এবং অবিচল। মের্কেলও নেতৃত্ব দিয়েছেন জার্মানদের সামষ্টিক মনস্তত্বকে গভীরভাবে অনুধাবন করে।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে ২৬ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের ফল নির্ধারণে অন্যতম নিয়ামক হতে পারে অভিবাসী বা শরণার্থী ইস্যুটি। এই ইস্যুতে এখনো দ্বিধা-বিভক্ত মূলধারার জার্মান জনগোষ্ঠী।
২০১৫ সাল থেকেই জার্মানিতে আলোচনার কেন্দ্রে অভিবাসী ইস্যুটি। সে বছর মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া এবং আফ্রিকার প্রায় ১০ লাখ শরাণার্থীকে ঠাঁই দিয়েছিলো জার্মানি। বলা যায় মের্কেল সরকারের ওই একক সিদ্ধান্ত জার্মানদের মনোজগতের উপর বড় পরীক্ষা। জার্মান রাজনীতিতে বরাবরাই ছায়ার বাইরে থাকা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হঠাৎ করেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার ফল? ২০১৭ সালের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি’র উত্থান। দলটি এখন জার্মান ফেডারেল পার্লামেন্ট বুন্দেসতাগের অন্যতম বৃহৎ বিরোধী দল।
অভিবাসী বিতর্কটি জার্মানির জ্ঞানভিত্তিক মতানৈক্যের অতুলনীয় একটি উদাহরণ। জার্মানি নিজেকে কখনোই অভিবাসী দেশ হিসেবে দেখেনি। বরং দেশটির অভিবাসন নীতিমালা এতটাই কঠোর যে সেগুলো অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করে আসছে আগাগোড়া। যদিও নিম্ন জন্মহারের কারণে দেশটিতে অভিবাসীদের প্রয়োজন ভীষণভাবে। অথচ মজার বিষয় হলো ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিবাসী গ্রহণ করছে জার্মানি। গেলো শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো থেকে কয়েক লাখ অভিবাসী জার্মানিতে প্রবেশ করে। সেই রেশ ধরে ষাটের দশকে আসে তুর্কি অতিথি শ্রমিকরা। আশির দশক থেকে শুরু হয় রুশ বংশোদ্ভত জার্মান জনগোষ্ঠী। নব্বইয়ের দশকে বলকান যুদ্ধ নিয়ে আসে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী। আজকের দিনে জার্মানির মোট জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশই অভিবাসী। যা গোটা ইউরোপের মোট অভিবাসীর বড় একটি অংশ।
অভিবাসী ইস্যুতে এই যে মতানৈক্য কিংবা রাষ্ট্রের দ্বিমুখী চরিত্র, সহজেই তার সুযোগ নেয়া যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। জার্মান অনেক বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদই এই সুযোগ নিয়েছেন, নিচ্ছেন। বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসীদের নিয়ে বিভক্ত মূল ধারার জনগোষ্ঠী। কট্টরপন্থী রক্ষণশীলরা মনে করছেন, ২০১৫ সালের পর আসা শরণার্থীরা জার্মান সংস্কৃতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে কিংবা একীকরণ করতে অনিচ্ছুক। যা জার্মান সমাজব্যবস্থাকে ক্ষুন্ন করছে। এ কারণেনই আরো কঠোর অভিবাসন নীতিমালা চাইছে এই পক্ষটি। এমনকি তারা অভিবাসী সংখ্যার একটি কঠোর সীমারেখাও বেঁধে দেয়ার পক্ষে।
অভিবাসনবিরোধী কঠোর মনোভাব যারা পোষণ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম বুন্দেসব্যাংকের প্রাক্তন পরিষদ সদস্য থিলো যাররাসিন। ৪৭ বছর ধরে তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি- এসডিপি’র সদস্য ছিলেন। অভিবাসনবিরোধী কঠোর মনোভাবের কারণেই এসডিপি তাকে বহিষ্কার করে। অভিবাসন ইস্যুতে ২০১০ সালে একটি বই লেখেন যাররাসিন। Deutschland schafft sichab বা ‘নিজেকেই বিলোপ করছে জার্মানি’- শুধুমাত্র এই শিরোনামটিই অভিবাসীদের বিষয়ে যাররাসিনের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করে।
প্রকাশের পরপরই বইটি জার্মানির কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম বেস্ট সেলারে পরিণত হয়। পাশাপাশি উসকে দেয় উত্তপ্ত বিতর্ক। এক দশকেও সেই বিতর্ক কমেনি এতটুকু। ক্রমবর্ধমান অভিবাসীর সংখ্যায় শঙ্কিত অভিবাসনবিরোধীরা। বিশেষ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে রাষ্ট্রের তরফ থেকে যে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে, সেখানেই তারা বেশি শঙ্কিত। তাদের ভয়, এই উৎসাহ জার্মানির সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী এবং কল্যাণব্যবস্থাকে শেষ সীমার দিকে ঠেলে দেবে। তৈরি করবে গভীর রাজনৈতিক এবং সামাজিক দ্বন্দ্ব। ‘অভিবাসন নয়’ বা ‘নো ইমিগ্রেশন’ নীতি প্রণয়ন করতে তারা ফেডারেল সরকারের উপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।
অভিবাসনবিরোধী জার্মানদের সংখ্যা নেয়াহেত কম না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ভীষণ উদ্বেগের। কেন উদ্বেগের? আসছি সে প্রসঙ্গেই। ঘটনাটি ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির। হেসে অঙ্গরাজ্যের ছোট শহর হানাউ। একজন কট্টর ডানপন্থীর হামলায় মারা যায় নয়জন অভিবাসী। জার্মানির বিভিন্ন স্থানে এমন প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে আরো কয়েকটি। বিশেষ করে শরণার্থী এবং রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর সংখ্যা রীতিমতো শঙ্কাজনক। কেবলমাত্র ২০১৯ সালেই এরকম এক হাজার ৬২০টি হামলার রেকর্ড আছে জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে। এরমধ্যে ১২৮টি হামলা চালানো হয় শরণার্থীশিবিরগুলোকে লক্ষ্য করে। আগের বছর ২০১৮ সালে হামলা চালানো হয় এক হাজার ৭৭৫টি। যারমধ্যে ১৭৩টি হামলা চালানো হয় শরণার্থীশিবির লক্ষ্য করে।
বিলেফেল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অন কনফ্লিক্ট অ্যান্ড ভায়োলেন্স-এর পরিচালক আন্দ্রেয়াস সিকের দাবি, জার্মানিজুড়েই বর্ণবাদ এবং অভিবাসীবিরোধীদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এমনকি সরকারি দফতরগুলোও বলছে, অন্তত ১৫ হাজার কট্টর ডানপন্থী রয়েছে যারা যেকোনো সময় অভিবাসীদের উপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।
শুধু হামলা চালাতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা যদি ১৫ হাজার হয়, তাহলে অভিবাসনবিরোধী সাধারণ জার্মানদের মোট সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই অনেকগুণ বেশি। যার প্রমাণ মিলেছে ২০১৭ সালের ফেডারেল নির্বাচনে। ইউরোবিরোধী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি- এএফডি মাত্র চার বছরের মাথায় নির্বাচনে যে চমক দেখিয়েছিলো তা নাড়িয়ে দেয় গোটা ইউরোপকে। সংঘাত-জর্জরিত দেশগুলো থেকে শরণার্থীদের ই্উরোপমুখী ঢল নামলে তাদের স্বাগত জানান অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। তার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হলেও ক্ষুব্ধ করে অনেক জার্মান নাগরিককে। ২০১৫ সালের সেই অসন্তোষকে রাজনীতির মাঠে ভালোভাবেই কাজে লাগায় এএফডি। মাত্র দুই বছরের মাথায় জার্মান রাজনীতিতে একটি সংবেদনশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দলটি। প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট নিয়ে বুন্দেসতাগে প্রথমবারের মতো বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে প্রবেশ করে তারা।
সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে অবশ্য জনপ্রিয়তা কমছে এএফডির। বিশেষ করে নব্য-নাৎসি পক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে দলটির বিরুদ্ধে। সবশেষ জরিপে এএফডি’র জনসমর্থন রয়েছে ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে। যেখানে সিডিইউ/সিএসইউর সমর্থন ২৭ শতাংশ। পিছিয়ে নেই গ্রিন পার্টি। তাদের সমর্থনও ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ জনমর্থন রয়েছে এসপিডি’র। বিশেষ করে গ্রিন পার্টির জনমর্থন বাড়ছে চোখে পড়ার মতো।
অভিবাসী বা শরণার্থী ইস্যুতে জার্মান রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান অনেকটা কাছাকাছি। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে গ্রিন পার্টি এবং এএফডি। নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পুরোপুরিভাবে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান নিয়েছে এএফডি। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, ইসলামবিরোধী এএফডি’র কৌশল এবার যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কঠোর। অভিবাসীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের জার্মানিতে যোগ দেয়ার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার দাবি করেছে দলটি। অভিবাসীদের পারিবারিক পুনর্মিলন ইস্যুতে এরআগে কিছুটা নমনীয় ছিলো এএফডি। ব্যতিক্রমী কিছু পরিস্থিতির ক্ষেত্রে দলটি পারিবারিক পুনর্মিলনের অনুমতির পক্ষে ছিলো। কিন্তু এবারের ফেডারেল নির্বাচনে নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়াতে আরো কঠোর অবস্থানে চলে গেলো কট্টর ডানপন্থী এই দলটি।
তবে শরণার্থী এবং অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় অনেক বেশি উদার গ্রিন পার্টি। দলটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শরণার্থী সুরক্ষা নীতিমালার উপর ভিত্তি করে জার্মানিতে থাকা অভিবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের পক্ষে। কেবল শরণার্থী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের মর্যাদা এবং স্বাধীনতার উপর আলোকপাত করছে দলটি। জার্মানিতে আসা শরণার্থীদের আশ্রয়লাভের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে গ্রিন পার্টি। এই দলটির মতে, যারাই এখানে আশ্রয়লাভের জন্য আবেদন করছে তাদের প্রত্যেকেরই সাংবিধানিকভাবে সুষ্ঠু এবং দ্রুত আশ্রয়লাভের অধিকার রয়েছে।
অভিবাসী/শরণার্থীদের বিষয়ে অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের দল সিডিইউ’র অবস্থান অনেকটা মাঝামাঝি। দলটি মনে করে, যারা আশ্রয় প্রার্থণা করছে, তাদের প্রত্যেকেরই সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে গ্রিন পার্টির মতো পুরোপুরি উদার না হয়ে শৃঙ্খলা এবং নিয়ন্ত্রণ রক্ষার উপর জোর দিচ্ছে সিডিইউ। বৈচিত্রপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জার্মান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের জন্য বড় একটি সুযোগ হিসেবেই তুলে ধরছে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা। কিন্তু অভিবাসীদের জার্মান মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির সাথে একীকরণের মাধ্যমে তাদেরকে সুরক্ষার পাশাপাশি জার্মানিকেও সুরক্ষিত করছে সিডিইউ। সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা এবং নানামুখী জটিলতা সিডিইউ’র সদিচ্ছাকে একটা বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
এর সবথেকে বড় কারণ ক্ষমতায় সিডিইউ’র অংশীদার পার্টি সিএসইউ। বাভারিয়াভিত্তিক এই আঞ্চলিক দলটি মের্কেল সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণীতে প্রভাব রাখছে জোরালোভাবে। দলটির মতে, অভিবাসীদের একীকরণ প্রক্রিয়া যদি সফল হয় তাহলেই কেবল ভারসাম্য এবং সংহতিপূর্ণ জার্মান সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে। এজন্যই নিয়ন্ত্রিত এবং সীমিত অভিবাসীর পক্ষে শক্ত অবস্থানে সিএসইউ। খুব বেশি পরিমাণে অভিবাসী না নেয়ার পক্ষে তারা। একটি সীমিত অভিবাসী গোষ্ঠীকে জার্মান সামাজিক মিথষ্ক্রিয়ায় খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য করার প্রতিও ইঙ্গিত আছে এই দলের। মূলত সিএসইউ’র এই কঠোর অবস্থানের কারণেই সিডিইউ অভিবাসীদের প্রতি শতভাগ উদারনীতি দেখাতে পারছে না। কারণ বাভারিয়ার বড় একটি ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে তাদের।
জার্মানি কি অভিবাসী এবং শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে? মূলত এই বিতর্কে সরগরম ছিলো ২০১৭ সালের ফেডারেল নির্বাচন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত অলটারনেটিভ ফর জার্মানি- এএফডি তা হতে দেবে না। আবার এটাও ঠিক যে, অভিবাসীবিরোধী অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের নির্বাচনে অন্তত ভোট বাড়ানো অতটা সহজ হবে না। কারণ জার্মান অর্থনীতিতে অভিবাসীদের বড় ধরনের অবদান এরইমধ্যে প্রতীয়মান। তাই বলাই যায়, আগামী সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে আবারো গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হতে চলেছে অভিবাসী/শরণার্থী ইস্যুটি।