৩ জুলাই, অবাধ্যতা দিবস। এই অবাধ্যতা মানেই আবার নিয়ন্ত্রণহীন ক্ষতিকর জীবনযাপন নয় কিন্তু। বরং প্রচলিত ভুল জীবনযাপনের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ জীবনের খোঁজ করা।
মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন। কিন্তু জন্মের পরই মানবশিশুকে সহস্র নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে স্বাধীন বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। নিয়ন্ত্রিত বিকাশ হয় তার। এ নিয়ন্ত্রিত বিকাশ মানুষের স্বাধীন চিন্তা ও সৃজনশীলতাকে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। শুরুতেই এ কাজ করে পরিবার, এরপর স্কুল, বন্ধুবান্ধব, গুরুজন, রাষ্ট্রীয় আইন, অফিসের বস, জীবনসঙ্গী; সবার কাছে নিজের কাজের জবাবদিহি করতে করতে স্বাভাবিকভাবেই হাঁপিয়ে ওঠে মানুষ। কে জানে, এই জবাবদিহির জটিলতায় দারুণ একটি লেখা, অসাধারণ কোনো আইডিয়া, ভীষণ ভালো কোনো শিল্প সৃষ্টির আগ্রহ অঙ্কুরেই মরে যায় হয়তো।
আজ না হয় কিছুটা অবাধ্য হওয়া যাক।
এই যে নিয়মাবদ্ধ নাভিশ্বাস উঠে যাওয়া জীবন, এর বিরুদ্ধে কেউ কেউ বিদ্রোহ করে বসেন, অবাধ্য হয়ে ওঠেন। অবাধ্যতা সব ক্ষেত্রেই অসুন্দর নয়। মার্কিন লেখক হেনরি ডেভিড থরো বলেছেন, অবাধ্যতা স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। অনুগত মাত্রই দাস।